সারা বিশ্বে শ্রমিক শ্রেনীর অধিকার আদায়ের বিজয় দিবস রূপেই মে দিবস পালিত হয়। সেই মে দিবসকেই সামনে রেখে তাৎপর্যপূর্ন ভাবে জঙ্গলমহলের কুড়মীসমাজ তাদের অধিকার আদায়ের দাবীতে বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের মিথ্যাচারিতা,দীর্ঘ অবহেলার বিরুদ্ধে কুড়মী সমাজের লড়াই জারি আছে।তারা তাদের জাতি সত্ত্বার পরিচিতি ফিরে পাওয়ার জোরদার দাবী তুলেছে।
কুড়মী জনগোষ্ঠী মূলত কৃষিজীবি আর কৃষি শ্রমিক। এই খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠীর লড়াই জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক বিন্যাসটাই আগামীদিনে পাল্টে দেবে।আজ হয়তো রাজনৈতিক দলগুলি এই কুড়মীদের দাবীর লড়াইকে গুরুত্বহীন ভাবছে কিন্তু নির্বাচনে কুড়মী বিরোধিরা টের পাবেই। রাজনৈতিক দলগুলি অফিসে বসে যতই প্রার্থী তালিকা তৈরী করুক ,পন্ঞ্চায়েত ভোট ঘোষনার পর পরিস্থিতি সম্পূর্ন বদলে যাবেই।ইতি মধ্যেই কুড়মী সমাজ ঘোষনা করেছে কোন কুড়মী মাহাতোদের গ্রামে কুড়মীবিরোধি কোন দলকেই প্রচার করতে দেওয়া হবে না,কারো দেওয়ালে তাদের লিখতে দেওয়া হবে না।এমনকি কুড়মীদের কেউ এইসব দলের প্রার্থী হতে পারবে না।জঙ্গলমহলের বেশীরভাগ পন্ঞ্চায়েত এলাকাতে কুড়মী জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ।তাই শেষ পর্যন্ত কুড়মীরা এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে অনেক ছবি পাল্টে যাবেই।আজ যে রাজনৈতিক দলগুলি লিস্টেড আদিবাসীদের এতদিন তোষন করে আসছে,কুড়মীদের আন্দোলন নিয়ে চুপ থেকেছে তারা কিন্তু আতান্তরে পড়বেই।

খেমাশুলিতে কুড়মী সমাবেশকে সামনে রেখেই কুড়মী নেতৃত্ব ভবিষ্যত কর্মসূচীর রূপরেখা নির্ধারন করবে।তাই এই মেদিবসের কুড়মী সমাবেশের গুরুত্ব অনেক।আজ যখন জঙ্গলমহলে শোষিত,বন্ঞ্চিত কৃষক,শ্রমিক শ্রেনীর রাজনীতি করা বামেরা মেদিবস উপলক্ষে সমাবেশ করার সাহস,উদ্যোগ দেখাতে পারছে না,সেখানে কুড়মীসমাজের মানুষগুলি মেদিবসে সমাবেশের ডাক দেওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানাতেই হয়।