রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত তৃণমূলের নেতারা। এ নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে ভুগছেন তৃণমূল নেতারা। এরই মধ্যে এক ব্যতিক্রমী চিত্র ফুটে উঠলো গাইঘাটার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। তিনবার পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করলেও ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান তৃণমূল পঞ্চায়েত নেতা রঞ্জন হাজরা (৬৬)। একেবারে সাক্ষাৎ জনপ্রতিনিধির কৃতকর্ম করে চলছেন তিনি। তার কর্মে প্রশংসা জানিয়েছেন বিরোধী দল বিজেপির সদস্যরাও।
গাইঘাটা জলেশ্বর এক নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য রঞ্জন হাজরা। পেশায় তিনি গুদামঘর থেকে মাল বহনকারী একজন কর্মী , সেই মাল নিজ ভ্যানে করে সর্বত্র পৌঁছে নিয়ে যান তিনি। সংসারে তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে অভাবে সংসার কাটলেও সুখী রয়েছেন এই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। কেননা আর পাঁচটা কূটনৈতিক রাজনীতিবিদের মতো তিনি অসৎ পথে না এগিয়ে ১০০ কদম দূরে রয়েছেন তিনি। প্রকৃত রাজনীতিবিদদের মতো জনপ্রতিনিধির কাজ করেই অভাবের সংসারে সুখী রয়েছেন তিনি। এভাবে এক নজিরবিহীন চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন রঞ্জন হাজরা।
তিনি বলেন , দু পয়সা রোজগার করেও যদি সেই পয়সা সৎ ভাবে আয় হয়ে থাকে , তবে লজ্জার কিছু নেই। তার মধ্যে থেকেই সুখ স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পাওয়া যায় , তবে অসৎ কাজ করে কখনোই একজন প্রকৃত জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিবিদ হওয়া সম্ভব নয়। তাই যতদিন আমি পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে মনোনীত থাকবো। জনগণের সেবায় নিজেকে অর্পণ করেই চলবো।
এদিকে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকার বিজেপি সদস্যরা। তার বিষয়ে বিজেপি সদস্যরা জানান, চোরের দল তৃণমূলে রঞ্জন বাবু একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বের কাজ করেন তিনি। তাই যারা দল করেন তাদের উদ্দেশ্যে এই একটাই কথা আইডিয়াল ব্যক্তিত্ব হিসেবে রঞ্জন বাবুর মত ব্যক্তিত্বকে রাখতে হয় । অনুকরণ করতে হলে রঞ্জন বাবুকে করুন কোন চোর তৃণমূল নেতা বা কর্মীকে নয়।