ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে অবিলম্বে জেলে ভরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তপন মণ্ডল নামে এক শিক্ষক কোচবিহারের প্রাণনাথ হাইস্কুলে শিক্ষক পদে যোগদানের নিয়োগপত্র পান। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা ঐ অভিযুক্ত শিক্ষককে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়ে জেলে ভরতে বলেন বিচারপতি। পুলিশ কি আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে তা পরবর্তী শুনানিতে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল চাকরির নিয়োগপত্র পেলেও চাকরিতে যোগ দেননি। কিন্তু বিচারক তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন, জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি সুপারিশ ও নিয়োগপত্রের আবেদনের জন্য তিনি ফৌজদারী অপরাধে যুক্ত। ইতিমধ্যে তদন্তে ৫ টি নকল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির খোঁজ মিলেছে। ১৬টি জাতিগত শংসাপত্রর বৈধতা খতিয়ে দেখতে এসডিও-দের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।