রাজ্য জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। সম্পূর্ণ দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়া, পানাগড়ের মত এলাকায় তাপমাত্রা পেড়িয়ে গিয়েছে ৪৩ ডিগ্রিও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত এসি-র ব্যবহার। যার প্রভাবে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা।
বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই গরম পড়লে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, ফলে লোডও বাড়ে। কিন্তু এই বছর সমস্যা একটু ভিন্ন। গ্রামেগঞ্জে সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এসি-র ব্যবহার। বিদ্যুৎ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, বাড়িতে বা অন্য কোথাও এসি সংযোগ নিলে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে লোড বৃদ্ধির বিষয়ে আবেদন জমা দিতে হয়। কিন্তু সেই নিয়মকে কার্যত পাত্তা না দিয়েই অনেকেই বাড়িতে এসি লাগাচ্ছেন। এক একটি বাড়িতে একাধিক এসি ব্যবহৃত হতেও দেখা যাচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এসি-র ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ করেই ট্রান্সফর্মারের উপর ‘অজানা লোড’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ট্রান্সফরমার ট্রিপ, কেবল ফল্ট প্রভৃতি একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সামাল দিতে পারছেন না। ফল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।