আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে অভাবনীয় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। দাম্পত্য সম্পর্কে মানসিক অত্যাচারের বিষয় নিয়ে ‘অসুস্থ বাবা-মাকে ছেড়ে স্বামীকে অন্যত্র থাকতে বলা মানসিক অত্যাচারের শামিল’ বলে জানিয়ে দিল আদালত৷
বারাসত এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে ২০ বছর আগে দমদমের এক মহিলার বিবাহ হয়। অভিযোগ, মহিলা কিছুতেই শ্বশুর বাড়ির মানুষজনের সাথে মানিয়ে নিতে পারেন নি। অশান্তির কারণে তিনি স্বামীকে বাবা মাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চাপ দিতে থাকেন ইতিমধ্যে ২০০৭ সালে ঐ দম্পতির সন্তান হওয়ার পর অশান্তি চরমে ওঠে এবং মহিলা সন্তানকে নিয়ে ২০০৮ সালে বাপের বাড়ি চলে যান। অনেক বোঝানোর পরেও মহিলা শ্বশুর বাড়িতে ফিরতে রাজি হননি এবং স্বামীকে বৃদ্ধ পিতা মাতাকে ছেড়ে আসতে বলেন।
- Advertisement -
এই পরিস্থিতিতে ঐ ব্যক্তি দাম্পত্য অধিকারের দাবিতে বারাসত আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় আদালত মহিলাকে পুনরায় দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করতে বলেন। কিন্তু ঐ মহিলা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইনে মামলা করেন এবং খোরপোষ দাবি করেন। ঐ ব্যক্তি মানসিক অত্যাচার ও পরিত্যাগের অভিযোগে বারাসত আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন এবং দীর্ঘ শুনানির পর রায় তাঁর পক্ষেই যায়। নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যান মহিলা৷ হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অসুস্থ বাবা-মাকে ছেড়ে স্বামীকে অন্যত্র থাকতে বলা মানসিক অত্যাচার। মহিলার সমস্ত আবেদন খারিজ করা হয়েছে এবং বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে রায় বহাল রাখা হয়েছে৷