BRAKING NEWS

Primary Teacher : চ্যালেঞ্জ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকেরা

কলকাতা হাইকোর্টের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন চাকরিচ্যুতদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিকের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীরা অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী। মামলাকারীদের দাবি ছিল, তাঁদের থেকে কম নম্বর পাওয়ার পরেও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশের পর তা স্পষ্ট বলে দাবি করেন তাঁরা। দীর্ঘ শুনানির পর গত শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু চাকরি যাওয়া অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের সংখ্যাটি ‘টাইপোগ্রাফিক্যাল’ ভুল তথা লেখার ভুল হয়েছে দাবি করে সংশোধনী চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। রায় সংশোধন করে চাকরি বাতিল শিক্ষকের সংখ্যা ৩২ হাজার করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ৩২ হাজার শিক্ষক সহ সমস্ত প্রার্থীকে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পর্ষদকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানির শুরুতে বিচারপতি তালুকদার বলেন, ‘‘একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কাউকে তো নেকড়ের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’ এরপর শুক্রবার ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায়ে আপাতত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে পর্ষদকে৷ সেপ্টেম্বর মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে৷ কিন্তু তারই আগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষকেরা।

Leave a Reply