বাংলা ভাষা সঙ্গে কলকাত্তাইয়া বাবু-বিবিদের উন্নাসিকতা – এক আঞ্চলিক বর্নবিদ্বেষ ও আধুনিক ভণ্ডামির চালচিত্র

বাংলা ভাষা সঙ্গে কলকাত্তাইয়া বাবু-বিবিদের উন্নাসিকতা - এক আঞ্চলিক বর্নবিদ্বেষ ও আধুনিক ভণ্ডামির চালচিত্র

শুভব্রত রানা: বাঙালির সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক, সাহিত্যগত পরিমণ্ডলে একটি কথা বেশ প্রচলিত আছে, ‘কলকাতায় গিয়ে জাতে উঠল!’ অর্থাৎ যেকোন বিষয়ে কলকাত্তাইয়া স্বীকৃতি একটি বিশেষ শংসাপত্র বিশেষ। এর কারণ হয়তো, সৃষ্টি ও ভাবনার সঙ্গে প্রচার ও অর্থনৈতিক সংযোগের একটি দাম্ভিক যোগসাজশ। আবার একসময় কলকাতাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলা তথা দেশের দীর্ঘকালীন এক সাংস্কৃতিক, সামাজিক, তাত্ত্বিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল তাও বিচার্য্য। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল বর্তমান আঙ্গিকে সেখানকার সিংহভাগ বাসিন্দাদের ‘কলকাত্তাইয়া’ হওয়ার মেকি অহংবোধ এক ঠুনকো উন্নাসিকতায় গিয়ে পৌঁছেছে।

মানুষে মানুষে সংযোগের বিভিন্ন মাধ্যম বিদ্যমান, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে ভাষা বোধহয় সর্বাপেক্ষা অধিক কার্যকরী। ভাষার বিভিন্ন শব্দ সঞ্চালনে, উচ্চারণে প্রকাশ পায় ব্যক্তি কোন অঞ্চলের বাসিন্দা সেই তথ্যটিও। আজকাল সেইগুলিকে সাংস্কৃতিক, বৌদ্ধিক ও আধুনিকতার মাপকাঠি বিচার করে প্রতিনিয়ত দাগিয়ে দেওয়ার প্রবণতা চলছে। যদিও প্রবীনেরা বলেন, এই ঘটনাক্রম মোটেই সাম্প্রতিক নয়। সে যাই হোক, প্রকাশ্য এই বিচারপ্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হন সদ্য বিভিন্ন প্রয়োজনে কলকাতায় ঘাঁটিগাড়া জেলাবাসীর দল। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী অথবা জীবিকার সন্ধানে ঠাঁই নাড়া হয়েছেন। তাঁদের ভাষা, উচ্চারণ নিয়ে প্রতিনিয়ত তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে নির্মম কটাক্ষ। আবার অনেক ক্ষেত্রেই সেই কটাক্ষকারী দলগুলিও কলকাতার আদিবাসিন্দা নয়, তাঁরাও বিভিন্ন প্রয়োজনে কলকাতাবাসী হয়ে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালান কথাবার্তা, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, চালচলন থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে জেলার গন্ধ ধুয়ে ফেলতে। আর বোধহয় সেই প্রচেষ্টারই ফসল প্রকাশ্যে তাঁদের এই দৃষ্টিকটু ও নির্লজ্জ্য ভণ্ডামি। অনেক ক্ষেত্রেই কলকাত্তাইয়া ‘বিশুদ্ধ বাঙালি’-র দল ভুলে যান মহামহোপাধ্যায় সুকুমার সেন মহাশয় বহুকাল আগেই স্থান ও উচ্চারণ ভেদে বাংলা উপভাষার পান্ডবরূপী স্বতন্ত্র ভেদ নির্দেশ করে গিয়েছেন। রাঢ়ী, বঙ্গালী বরেন্দ্রী, ঝাড়খণ্ডী, রাজবংশী। পরে ভাষাবিদরা সুন্দরবন, মেদিনীপুর অঞ্চলের ভাষাকেও স্বতন্ত্র উপভাষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবার এই উপভাষা স্থান ভেদে কিছু কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-দাসপুর অঞ্চলে যে উচ্চারণ ও শব্দ প্রয়োগে কথা বলা হয় ওড়িশা সংলগ্ন দাঁতনে তা কিন্তু অনেকটাই আলাদা। সেখানে উপভাষায় বাংলার সঙ্গে ওড়িশার ভাষা রীতি ও শব্দের অঙ্গাঙ্গিক মিশ্রণ ঘটেছে। শুধু জায়গা নয়, কাল ভেদেও ভাষার বিভিন্নতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলা বলে যে ভাষার চর্চা আমরা করছি, এক সময়ে তাই কিন্তু মৈথিলী ব্রজবুলি রূপে পদাবলী মাতিয়েছে। কলকাতা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলের বাসিন্দারা যে ভাষা ব্যবহার করেন তা আসলে ‘রাঢ়ী উপভাষা’। এখন প্রশ্ন জাগে এই উপভাষাটিকেই বাংলাভাষার একমাত্র প্রকাশ এই ভুল ধারণার গড়ে উঠেছে কি ভাবে। এর জন্য বোধহয় বাংলা নবজাগরণ ও বাংলা লেখনী কিছুটা দায়ী। এক সময়ে বাংলা ভাষাকে লেখনীতে প্রকাশের জন্য তৎসম শব্দ সমন্বিত সাধু গদ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে, পরে তা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যের প্রচলন হয়েছে। আর এই চলিত গদ্যই রাঢ়ী উপভাষার অন্যতম ভিত্তি। অনেকেই আবার বলবেন উপভাষায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা কি হয়নি। অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু তা তুলনায় এতটাই কম এবং ভাষা কলকাতাবাসীর মাপকাঠিতে সাংস্কৃতিক মান্যতা না পাওয়ায় বিশেষ প্রচারের আলোও জোটেনি। এখন আমি ধান নিয়ে চালের জন্য যন্ত্রকলে গিয়ে শিবগীতির চর্চা কেন শুরু করেছি তা অনেকের বিস্ময়কর লাগতে পারে। আসলে উপভাষা ভিত্তিক উন্নাসিকতায় কলকাতা ও তার পার্শবর্তী শহুরে(!) ও আধুনিক(?) জনগন বাংলা ভাষা সংক্রান্ত বুনিয়াদি শিক্ষা ভুলতে বসেছেন বলেই কিঞ্চিৎ প্রসঙ্গ উত্থাপন।

তাত্ত্বিক কথা তো হল। এবার আসল বিষয়ে ফিরে আসি। বর্তমানে বিশ্বজনীন সমাজে ‘রেসিজম’ শব্দটি বেশ প্রতিবাদ তুলছে। এর আক্ষরিক অর্থ বর্ণবাদ হলেও আজকাল শুধুমাত্র চামড়ার বর্ণ বোধহয় ‘বর্নবিদ্বেষ’ তৈরি করে না। ভাষা, পোশাক, খাদ্য, লিঙ্গ, ধর্ম এমনকি অর্থনৈতিক ভিন্নতাও বর্নবিদ্বেষকে উন্মোচিত করে। দীর্ঘদিন শিক্ষাগত, পেশাগত ও অন্যান্য কারনে কলকাতায় থাকার সুবাদে এই বর্নবিদ্বেষের শিকার অনেককে হতে দেখেছি। কলকাতা সংলগ্ন বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের পারস্পরিক অভ্যাসগত ভিন্নতা বিশেষ প্রকট না হওয়ায় বিশেষতঃ সমস্যায় পড়েন কলকাতার দূরবর্তী জেলাগুলির বাদিন্দারা। সেই তালিকায় পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের উল্লেখ বিশেষ ভাবে করতে হবে। একটু অনুধাবন করলে এবং বিগত ১০-১৫ বছরের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর ফলাফলগুলি খতিয়ে দেখলেই বোঝা যায় কলকাতা ও তা সংলগ্ন আধুনিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রধানতঃ প্রাধান্য জেলার ছেলেমেয়েদেরই। ফলে শিক্ষাগত ও পেশাগত কারণে জেলার ছেলেমেয়েদের আধিক্য কলকাতাকে প্রতিনিয়ত প্রাণবন্ত রেখেছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও জেলার ছেলে মেয়েরাই প্রাধান্য বিস্তার করে আজ কলকাতার বাসিন্দা। অথচ বিস্ময়কর ভাবে তাঁরা কলকাতায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপত্তি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে প্রায়শই জেলার ট্যাগটি ঝেড়ে ফেলতে সচেষ্ট হন। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা গাইয়া, টুম্পা, আবাল প্রভৃতি ট্যাগ তীব্র ভাবে আঘাত করে পড়াশোনায় ও সাংস্কৃতিক ভাবে অনেক এগিয়ে থাকা জেলা থেকে আসা ছেলেমেয়েগুলির আত্মবিশ্বাসকে, তীব্র ধাক্কা দিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলে। হতচকিত হয়ে অনেকে ভাষাকে আমূল বদল করে, অনেকে আবার হাস্যকর ভাবে কলকাত্তাইয়া অনুকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই মেকি ও ব্যর্থ অনুকরণ তাদের আরও হাসির খোরাক করে এবং তাদের মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করে তোলে।

এই বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সাক্ষাৎ আমিও পেয়েছি। আমার কলেজ জীবনের শেষে কলকাতায় এক জুনিয়রের সাথে আলাপ হয়। মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা সে। কলকাতায় একটি বেশ নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ছিল। পড়াশোনাগত বিষয় নিয়েই তার সঙ্গে আমার আলাপ। খুবই ভদ্র, নরম গোছের মেধাবী ছাত্রটি মাঝে মধ্যেই ছুটির দিনে আমার কাছে ডিস্ক্রিট ম্যাথামেটিক্স বুঝতে ও গল্প করতে আসতো। আমি বিশেষ পছন্দ করতাম ছেলেটিকে। ছেলেটি অত্যন্ত হাস্যকর রকমের ছেড়া ফাটা স্টাইল ওয়ালা জিন্স, রোগা শরীরে ভিকাট গেঞ্জির সঙ্গে বোতাম খোলা জামা পড়ে থাকতো। তাকে একদিন তার এই পোশাক চয়নের বিষয়টি আলতো করে জিজ্ঞাসা করলাম। ছেলেটি প্রায় আধ ঘন্টা আমার কাছে কেঁদেছিল। সঙ্গে সহপাঠী সহপাঠিনী সিনিয়রদের মানসিক নির্যাতনের যে ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছিল তা বিস্তারিত বলতে বসলে প্রবন্ধ না হয়ে ‘একটি ছেলের জীবন কাহিনী’ শীর্ষক ছোটগল্প হয়ে যাবে। এরপরে তাকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে আমার স্বলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেকদিন ধরে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ছিলাম, মনের জোর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সময় লেগেছিল। কিন্তু ছেলেটি নিজের হীনমন্যতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। আজ একটি বিখ্যাত মাল্টি ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে সফলভাবে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কর্মরত। এবার নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার উল্লেখ করে। হুগলি জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা হলেও আমার কথ্য ভাষায় স্বাভাবিক ভাবেই রাঢ়ীর প্রভাব বেশি। ফলে আমার প্রত্যক্ষ ভাবে মানসিক নির্যাতনের সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু আমার শৈশবের এক ঘটনা এক দীর্ঘকালীন প্রভাব ফেলেছিল আমার জীবনে। তখন আমি প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়া, বছর আটেক বয়স। কোনো এক ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিল বৃহত্তর কলকাতার বাসিন্দা এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে কোন একটি বিষয় নিয়ে হয়তো কোন নির্বোধ মন্তব্য করেছিলাম সেখানে হুগলির স্বাভাবিক টান প্রকট ছিল (আজও আছে)। আমার খেলার সঙ্গী কয়েকবছরে বড় দিদি, হেসে উঠে আমায় তীক্ষ্ণ কন্ঠে ‘গাঁইয়া’ হিসেবে নির্দিষ্ট করে। ছোট হলেও শব্দটির ভাবার্থ বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। সেই দিদির বাবা কথাটি শুনতে পেয়েই প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে পড়েন এবং সর্বসমক্ষেই দিদিকে তীব্র ভাষায় ও উত্তমমধ্যম প্রহারের সঙ্গে তিরস্কার করেন। কিন্তু ঐ ‘গাঁইয়া’ ট্যাগটি আমার মনে প্রচন্ড প্রভাব ফেলেছিল। সেই শব্দের ট্রমা থেকে বের হতে আমার প্রচুর সময় লেগেছিল, হয়তো এখনও পুরোপুরি বের হইনি। এরপরের অভিজ্ঞতাটি আমার এক দাদার। জন্মসূত্রে বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা তিনি। তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র বৃহত্তর কলকাতার একটি শহরে নিজের আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন। শহুরে রুচির সুসজ্জিত ‘ড্রইং রুমে’ বসে টিভিতে ফুটবল খেলা দেখার সময় তিনি একজন খেলোয়াড় সম্পর্কে বলেন, “উ যে গোল দিইছে!” উপস্থিত শহুরে বাবুরা সুললিত কন্ঠে হেসে ওঠেন। এরপর দীর্ঘ বহু বছর শহুরে আত্মীয় মহলে তাঁর নাম ছিল, “গোল দিইছে”! এখন দাদাটি এক বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে স্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তিনি যে সেই শৈশবের ভাষাভিত্তিক অপমান ও কটাক্ষকে এখনও বিস্মৃত হননি তা নিজেই আমায় জানিয়েছেন।

তাত্ত্বিকরা বলেন ভাষাগত বিষয়ের সঙ্গে স্থান সংক্রান্ত বিষয়ও অঙ্গাঙ্গিক। এটি বোঝা যায় বৃহত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের দেখলে। কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা অন্যান্য জেলার বাসিন্দাদের কাছে নিজেদের কলকাতার বাসিন্দা প্রমান করতে বিশেষ তৎপর। সেখানে তাঁরা নিজেদের কলকাতার বাসিন্দা হিসেবেই উল্লেখ করেন। এখন কোনো জেলার বাসিন্দা স্থান উল্লেখ করে সেটি বৃহত্তর কলকাতার অংশ হিসেবে উল্লেখ করলে তাঁর কাছে তীব্র ভাবে প্রমান করে দেওয়া হয় পোষ্ট অফিসের পিন নম্বরটিতে কলকাত্তাইয়া ছাপ আছে বটে। এও কলকাতার রঙিন অভিজাত্যের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার এক হ্যাঙলামি, যা প্রকারান্তরে সেই উন্নাসিকতার ভণ্ডামিকেই তোল্লাই দিচ্ছে। এই বাবুরা বাঁকুড়া, বীরভূমের মানুষের ভাষা, উচ্চারণ, পান্তা ভাত বা মুড়ি প্রীতি সম্পর্কে প্রকাশ্যেই তির্যক মন্তব্য করেন। আবার পাঁচমুড়ার পোড়া মাটির ঘোড়া বসার ঘরে থুড়ি ‘ড্রইং রুমে’ সাজিয়ে নিজেকে শিল্প তত্ত্বের সমঝদার বলে জাহির করেন অথবা বোলপুরে নিরালা আবাস বানিয়ে সপ্তাহান্তে শান্তিনিকেতন গিয়ে কবিগুরুর ছোঁয়ায় নিজের স্ট্যাটাসকে সাংস্কৃতিক পরিচয় দিতে সচেষ্ট হন। ভণ্ডামির এমন নির্লজ্জ্য প্রদর্শন বিস্ময়কর হলেও মোটেই দুর্লভ নয়। কিন্তু আশার কথা আজকাল কলকাত্তাইয়া জনগনের এই মেকি উন্নাসিকতা নিয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন। সেই সঙ্গে বাবুদের ভাষাকে সম্মান জানিয়েও সাহিত্যচর্চা হচ্ছে আঞ্চলিক ভাষাতে। মানসিকতার বদল ঘটে শহুরে ভাবে সাজিয়ে রাখা সাংস্কৃতিক ফানুস ও ভাষাগত উন্নাসিকতা ভণ্ডামি ছেড়ে বের হলেই বর্নবিদ্বেষেরও ইতি ঘটবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ