বাঙালির মধ্যাহ্নভোজনে শুরুর পাতে করলার গুরুত্ব কতটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সারা বছরের এই ফসলটির চাহিদা বাজারে সবসময় বিদ্যমান থাকে।
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে করলার ফলন সবচেয়ে ভালো হলেও প্রায় সবধরনের মাটিতেই এর চাষ করা যায়। দুই ভাগ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টিএসপি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ একত্রে মিশিয়ে ড্রামে ভরে জলে ভিজিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হবে। মাঝে মধ্যে মাটি উল্টে পাল্টে দিতে হবে। এরপর রোপনের একদিন আগে টবে মাটি ভরে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ রোপনের পর নিয়মিত জল দিতে হবে। মনে রাখতে হবে চারা এলে তার গোড়ায় যেন কখনই জল না জমে। গাছ একটু বড় হলে মাচা করে দিতে হবে। গাছের গোড়া নিয়মিত পরিষ্কার করে আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। গেছে ফলন এলে সরিষার খোল পচা ১৫-২০ অন্তর নিয়মিত টবের মাটিতে দিতে হবে। করলা গাছে মাছিপোকা, পামকিন বিটলসহ বিভিন্ন পোকা ও ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কীটনাশক প্রয়োগ প্রয়োজন।