বারো মাসের সবজিটি ক্রমশ আমাদের হেঁশেলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বর্তমানে হোটেল-রেস্তরাঁয় ক্যাপসিকাম ছাড়া রান্না প্রায় হয় না বললেই চলে। ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াণ্ডার, ইয়োলো ওয়াণ্ডার, চায়নিজ জায়েন্ট, হাম্বার্স, কিং অফ নর্থ ইত্যাদি ক্যাপসিকামের কয়েকটি বিখ্যাত প্রজাতি। রয়েছে হাইব্রিড প্রজাতিও। তার মধ্যে ভারত, বিটলিবেল, কানাপে, ওসির, ইন্দিরা, মহাভারত, ম্যানহাটন, রতন প্রভৃতি অন্যতম
উন্নত জলনিকাশিযুক্ত দোআঁশ মাটিতে সারা বছরই ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়। সাধারণত ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করা হয়। জমি তৈরির সময় একর প্রতি ৪ টন জৈব সার ও ৬ কিলোগ্রাম আ্যজোটোব্যাকটর এবং পিএসবি প্রয়োগ করতে হবে। উন্নত প্রজাতির বীজ একর প্রতি ২৫০ গ্রাম ও হাইব্রিড প্রজাতির বীজ একর প্রতি ১৫০ গ্রাম হিসাবে লাগবে। বীজ বপন করতে হবে পারস্পরিক দেড় থেকে ২ ফুট দূরত্বে। চারা এসে গেলে একর প্রতি ২০ কিলোগ্রাম নাইট্রোজেন, ৩২ কিলোগ্রাম ফসফেট ও ১৬ কিলোগ্রাম পটাশ প্রয়োগ করতে হবে।
ক্যাপসিকামকে কীড়া পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে চারা অবস্থায় প্রতি গাছে পাঁচ গ্রাম পিউরাডন-৩জি বা কারটাপ-৪জি দিতে হবে। আর নিমজাত কীটনাশক বা ব্যাবিলাস থুরিনজিয়েনসিস দেড় গ্রাম বা স্পাইনোস্যাড ৪৫ শতাংশ ০.১৫ মিলিলিটার বা কারটাপ ৫০ শতাংশ এক গ্রাম স্প্রে করতে হবে। কার্বাডিল আড়াই গ্রাম বা থায়োডিকার্ব এক গ্রাম বা কুইনালফস স্প্রে করতে হবে বাঘা পোকার আক্রমণ দেখা দিলে। চারা বসানোর দুমাসের পর থেকে গাছে ফলন এসে যায়।