টিউলিপের জন্য প্রসিদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর। টিউলিপের প্রায় ১৫০ প্রজাতি রয়েছে। মূলত বর্ষজীবি ও শীতপ্রধান দেশের বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত এটি। বর্তমানে বিভিন্ন শংকর প্রজাতির টিউলিপ ফুলও ফোটানো হচ্ছে। ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয় একটি ফুল। ১০ সেমি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭১ সেমি পর্যন্ত উচ্চতা হয়ে থাকে।
মূলত শীতকালীন দেশের ফুল হলেও বাংলাতেও গ্রীষ্মকালীন টিউলিপ ফোটানো সম্ভব। মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণত এই ফুল ফোটে। গ্রিন হাউস বা শেডনেটে চাষ করতে হবে। জমিতে বেড তৈরি করতে হবে মাটির সঙ্গে গোবর পচা, পাতা পচা সার মিশিয়ে। সামার টিউলিপের কন্দ রোপন করতে হবে মার্চ মাসে। ১ মিটার চওড়া বেডে তিনটি সারি করা হয়ে থাকে। খড় দিয়ে মালঞ্চিং করে দিতে পারলে ভালো। ড্রিপ সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে জমিতে। সামার টিউলিপের একটি গাছে কমপক্ষে ৬টি ডাঁটি আসে। প্রতিটিতে ১টি করে ফুল হয়। সামার টিউলিপের ২ ধরনের প্রজাতির আকারে বড় এবং ঝাঁকালো প্রজাতির গাছগুলি পরস্পর ২ ফুট দূরত্বে লাগাতে হয়। পাতা সরু প্রজাতির গাছগুলি ১ ফুট দূরত্বে লাগাতে হবে। এরপর জমিতে ম্যাগনেশিয়াম সালফেট দিতে হবে। ফুলের ডাঁটি বড় করার জন্য জিব্বারেলিক অ্যাসিড প্রয়োগ করতে হয়। উচ্চ জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমিতে যেন কোনওভাবেই জল না জমে। অতিরিক্ত বৃষ্টি গাছকে পচিয়ে দেয়। তাই শেড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিউলিপ গাছে ল্যাদাপোকার আক্রমণ হয়। এছাড়া ছত্রাকের আক্রমনও হয়। বাজারে থাকা উপযুক্ত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ আবশ্যক।