আমাদের প্রাত্যহিক পাতে শসার গুরুত্ব কতটা বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রাম বাংলার সাধারণ জলখাবার থেকে যে কোন খাদ্যের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে শসা থেকেই থাকে। ফলে শসা একটি মরশুমি চাষ হলেও প্রায় সারা বছর বাজারে এর চাহিদা থাকে।
দোআঁশ মাটি ও উপযুক্ত জল নিকাশি ব্যবস্থা শসা চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস সাধারণত শসা বপনের উপযুক্ত সময়। যদিও আজকাল উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময় ব্যতীতও শসার চাষ করা হয়। সাধারণত পলিব্যাগ মাটির সাথে অল্প জৈব সার মিশিয়ে বীজ দেওয়া হয়। চারা ১৬-২০ দিন হলে মাদায় চারা বপন করা হয়।
শসা চাষের ক্ষেত্রে মাদা তৈরি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক ৬ ফুট দূরে ১ ফুট গভীর ও ১ ফুট ব্যাসের গর্ত করে তাতে মাটি ও জৈব সারের মিশ্রণ দিতে হবে। প্রতি একর জমির জন্য ২৫ কেজি ইউরিয়া, ৩০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট, ৩০ কেজি মিউরেট অব পটাশ ও ২০ গাড়ি গোবর-পাতা পচা সার লাগবে।
শসা গাছে মাছির লার্ভার উপদ্রব দেখা যায়। ২ লিটার জলে ৫০০ গ্রাম গুড়, ২০ গ্রাম কার্বারিল ও ২০ গ্রাম ইস্ট গুলি বেশ কয়েকটি পাত্রে রেখে দিলে মাছি সেখানে বসে মারা পরে। ফসলে ডিম পাড়ে না। এছাড়া নালী পােকা বা লিফ মাইনর নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম বীজ গুঁড়ো জলে গুলি স্প্রে করা যায়। পাতায় সাদা পাউডার রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতি লিটার জলে ০.৭৫ মিলি টিল্ট বা ১ গ্রাম ব্যাভিস্টিন গুলি স্প্রে করতে হবে।