বিশ্বাস করা হয়, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনটি শুক্রবার ছিল। মানবতার স্বার্থে এই দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই দিনটি হোলি ফ্রাইডে বা গুড ফ্রাইডে হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু মৃত্যুর দিন ‘শুভ’ হিসেবে উল্লেখ্য কেন? এই বিষয়ে আছে নানা বিতর্ক।
ইংরেজি ভাষায় এই ‘গুড’ শব্দটির এইদিনের জন্য ব্যবহার যথেষ্ট বিতর্কিত। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি আসলে ছিল, ‘গড’স ফ্রাইডে’ এবং পরে মানুষের মুখে মুখে গুড ফ্রাইডে উচ্চারিত হয়। অনেকে আবার মনে করে থাকেন, গুড ফ্রাইডের মধ্যে ‘গুড’ শব্দটি দিনটির পবিত্রতাকে নির্দিষ্ট করে। মনে করা হয়, মানবতার স্বার্থে যীশু আত্মত্যাগ করেছিলেন। তাই যীশুর আত্মত্যাগের মাহাত্ম্য ও দিনটির পবিত্রতা বোঝাতেই ‘গুড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে জার্মানিতে, গুড ফ্রাইডেকে বলা হয় কারফ্রেইট্যাগ, অর্থ ‘দুঃখজনক শুক্রবার’। খ্রীস্টানরা আসলে গুড ফ্রাইডে দিনটি শোকের দিন হিসেবেই পালন করে। গীর্জা বা বাড়ির সমস্ত অলংকরণ এই দিন সরিয়ে রাখা হয়। মূর্তি, সাজসজ্জা ঢেকে রাখা হয় কালো কাপড়ে। অনেক ধর্মপ্রাণ খ্রীস্টান এইদিনটি উপবাসও করেন। তাই সব মিলিয়ে গুড ফ্রাইডে যীশুখ্রীস্টের তিরোধান তথা শোকের দিন।