Easter : ইস্টার সান ডে কিভাবে পালিত হয়, জানুন একনজরে

Easter : ইস্টার সান ডে কিভাবে পালিত হয়, জানুন একনজরে

বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট মতে, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনটি শুক্রবার ছিল। মানবতার স্বার্থে এই দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই দিনটি হোলি ফ্রাইডে বা গুড ফ্রাইডে হিসেবে পালিত হয়। কথিত আছে, শুক্রবার মৃত্যুর পর রবিবার তাঁর রেজারেকশান বা পুনরুত্থান ঘটে। সমাধি থেকে পুনরুজ্জীবিত হয়ে আসেন তিনি। সেই দিনটি ইস্টার সানডে হিসেবে পরিচিত৷

‘ইস্টার’ শব্দটি এসেছে জার্মান প্যাগান ধর্মের দেবী ‘ইয়োস্ত্রে’ থেকে। তিনি ছিলেন নবজন্ম এবং উর্বরতার দেবী, ছোট খরগোশ এবং ডিম ছিল তার প্রতীক। এখন ইস্টার সানডে হিসেবে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন যীশুখ্রীস্টের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার দিন হিসেবে৷ কিন্তু ইস্টারের ৪৫ দিন আগে থেকে শুরু হয় বিশেষ প্রায়শ্চিত্তকাল। প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে রোববার ব্যতীত প্রতিদিন নানাভাবে নিজের পাপের জন্য অনুতাপ প্রার্থনা করেন খ্রিস্টানরা। উপবাস রাখা, নিয়মিত প্রার্থনা আর পাপস্বীকার করেন তাঁরা। এরপর গুড ফ্রাইডে পালিত হয় যীশুর আত্মত্যাগের দিন হিসেবে।

আরও পড়ুন:  Good Friday : যিশুখ্রিস্টের মৃত্যু দিন গুড ফ্রাইডে, তাও কেন বলা হয় ‘শুভ’?

ডিমকে ধরা হয় নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে। তাই ইস্টারের দিন যীশুর পুনরুজ্জীবিত হওয়াকে স্মরণ করতে পালিত হওয়া দিনটিতে ‘ইস্টার এগ’-এর বিশেষ গুরুত্ব থাকে। সেদ্ধ ডিমের খোলসের উপর তৈরি করা হয় নানা ধরনের নকশা। বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয় ডিমগুলি। রাতের বেলা পরিবারের ছোটরা ঘুমিয়ে পড়লে বড়রা ডিমগুলো লুকিয়ে ফেলেন বাড়ির বিভিন্ন স্থানে। এরপর সকালে ছোটরা শুরু করে সেই ডিম অনুসন্ধানের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে শিশুদের জন্য থাকে বিভিন্ন পুরষ্কার। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে পালিত হয় দিনটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ