ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে জন্ম নেওয়া ল্যাভেন্ডার এক প্রকার গুল্ম জাতীয় ঔষধি গাছ। বাড়ির উঠোনের বাগান থেকে ছাদের বাগান জায়গাতেই চাষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে দর্শনীয় ও অর্থকরী হয়ে উঠতে পারে ল্যাভেন্ডার। কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ অঞ্চলে বিপুল হারে ল্যাভেন্ডারের চাষ হয়।
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ শুকনো এবং চুনযুক্ত মাটি ল্যাভেন্ডার চাষের উপযুক্ত। মাটির পিএইচ ৭.০ থেকে ৮.৩ থাকা প্রয়োজন। বাগানের একটি অংশে ভালো করে ২-৩ বার মাটি কুপিয়ে পাতা পচা ও জৈব সার মেশাতে হবে। শীতের আগে শরতে রোপণ সবচেয়ে ভাল হয়। তাছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের তুষারপাত সমাপ্ত হওয়ার পরে রোপন করা চলে। ল্যাভেন্ডার সারিগুলির মধ্যে ৪ ফুট এবং দুটি গাছের পারস্পরিক ৩০ সেমি থেকে ৪০ সেন্টিমিটারের দূরত্ব রাখতে হবে।
ফুল ধারণের সময় গাছে সঠিক ভাবে জল সিঞ্চন করতে হবে। বাগান পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই গাছে কীটপতঙ্গর উপদ্রব বিশেষ দেখা যায় না। তবে প্রয়োজনে জৈব কীটনাশক হিসেবে নিম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।