জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে জোর কদমে শুরু হয়েছে মহুল কুড়ানো। গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ এই কাজে যুক্ত। মহুল সংগ্রহ করার পর রোদে শুকনো করে বিক্রি করে আয় করে।
দীর্ঘ কয়েক বছর দলমার দাঁতালরা ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে মহুল সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়ছে জঙ্গল ঘেরা গ্রামের মানুষ গুলো। অনেক সময় জীবিকার তাড়নায় হাতিকে উপেক্ষা করেই মহুল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ফলে ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনা এড়াতে বন দফতর মাইকিং এর ব্যাবস্থা করছে এবং সোস্যাল মিডিয়ায় হাতির অবস্থানের প্রচার করছে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মহুল সংগ্রহের কাজ চলে। এক একটি পরিবার ১-৫ কুইন্টাল পর্যন্ত মহুল সংগ্রহ করে। সেই মহুলকে শুকনো করে বাজার জাত করা হয়।গোয়ালতোড়ের পানমনিরা জানায় প্রতি বছর এই সময়ে মহুল সংগ্রহ করে আয় করি। তারা জানায় স্থান ভেদে মহুলের দামের তারতম্য হয়। কোন বছর ২০ টাকাই তো আবার কোন বছর ৩০ টাকাই বিক্রি করি। মঙ্গল সরেন বলেন জঙ্গলে হাতি থাকার জন্য মহুল সংগ্রহে সমস্যায় পড়ছি।
এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করতে হয় জঙ্গলের উপর। শালপাতা, শারুল, মহুল ও কচড়া ইত্যাদি বিভিন্ন সময় নানান জিনিষ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে জঙ্গল ঘেরা গ্রামের মানুষ গুলি। এই সময় চলছে মহুল সংগ্রহের কাজ।