দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা এই ফুলগাছ একবার লাগলে বহু বছর ধরে সুদৃশ্য করে তোলে বাগানকে। গোলাপি, বেগুনি রঙের গন্ধহীন ফুল সারাবছরই ফোটে গাছে। সাধারণত জুলাই মাসে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সাথে সাথে গাছের পাতা ও ফুল ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ জনিত রোগের উপশমেও কার্যকর।
গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের নয়নতারা ফুলের গাছ যেকোনো মাটিতে লাগানোর উপযুক্ত হলেও বেলে-দোআঁশ বা এঁটেল-দোআঁশ মাটি আদর্শ। সেই সঙ্গে জমির জলনিষ্কাশন ভালো হওয়া অবশ্যই দরকার। গাছের গোড়ায় জল কখনই যেন না দাঁড়ায়। বছরের যেকোন সময়ে এই ফুলের গাছ লাগানো গেলেও জুলাইয়ের বর্ষা সবচেয়ে উপযুক্ত। বীজ এবং কলম দুটিই উপযুক্ত রোপনের মাধ্যম। তবে কলমের চাষে গাছে ফুল আসে দ্রুত।
প্রথমে বাগানের নির্দিষ্ট অংশের মাটি কুপিয়ে নিয়ে মই দিয়ে নিতে হবে বেশ কয়েকবার। এরপর পচা জৈব সার, গোবর সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। দুটি গাছের ১.৫ ফুট × ১.৫ ফুট পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধ ভাবে চারা গুলি রোপন করতে হবে। চারা রোপনের ১২-১৫ দিন পর থেকে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত জল দেওয়াও আবশ্যক। তবে দেখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে। গাছ লাগানোর ৬ মাসের মধ্যে ১ বার এবং ৯ মাসের মাথায় দ্বিতীয় বার পাতা সংগ্রহ করা হয়। আর ফুল প্রত্যহই গাছে ফোটে।