শিম বর্তমানে বাঙালির অন্যতম প্রাত্যহিক সবজি। আগে না হলেও এখন প্রায় সারা বছর জমিতে শিম ফলাচ্ছেন চাষীরা। অনেকে আলাদাভাবে, অনেকে আবার আলুর সঙ্গে সঙ্গী ফসল হিসেবে চাষ করছেন। যদিও আলুর সাথে চাষ করলে ফলন দেরিতে মেলে।
শিমের পুসা আর্লি প্রলিফিক, পুসা শিম-২, জেডিএল-৩৭ ইত্যাদি প্রজাতি লতানে হওয়ায় চাষ করার জন্য মাচা তৈরি করতে হয়। আবার আর্কা জয়, আর্কা বিজয় প্রভৃতি প্রজাতি ঝোপ জাতীয় হওয়ায় মাচার প্রয়োজন পড়ে না। বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ কুইন্টাল গোবর সার এবং ৪০ থেকে ৫০ কিলোগ্রাম নিম খোলের সঙ্গে ২ কিলোগ্রাম অ্যাজোফস জমিতে মিশিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। লতানো জাতের গাছগুলির বীজ ৫×৩ ফুট দূরত্বে এবং ঝোপ জাতীয় গাছের বীজ অল্প কম দূরত্বে লাগাতে হবে। গাছ বের হওয়ার পর ৩ সপ্তাহ বয়সে ও ৬ সপ্তাহ বয়সে ৫ কিলোগ্রাম করে ইউরিয়া, ৩ করে কিলোগ্রাম পটাশ সার জমিতে দিতে হবে। বোরোন, জিংক মিক্সচার দেড় থেকে দুই গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে গাছের পাতায় সরাসরি স্প্রে করতে হবে।
পাউডারি মাইল্ড, ফাইটোপথোরা পোড্রট ছত্রাক ঘটিত আক্রমণ শিম গাছে হয়। ট্রাইকোডারমা ভিরিডি ৩ গ্রাম অথবা সাফ পাউডার ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে সঙ্গে আঠা মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। পোকা দমনের জন্য নিম তেল ৩ মিলিলিটার প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।