রাজ্যে প্রধানতঃ শীতকালে ফুটলেও এখন গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেও গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে বাগানের পরিমণ্ডল।
এঁটেল বা দো-আঁশ মাটি গাঁদা ফুলের উপযুক্ত। প্রথমে বাগানের মাটি কুপিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও ছোট টুকরো করে নিতে হবে। তারপর মাটিতে গোবর সার মেশাতে হবে। দিন কয়েক রেখে মাটিতে জল দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে বিকালে যখন রোদের তাপ কমে যাবে তখন চারা রোপন করতে হবে। রোপনের সময় চারা থেকে চারার দুরত্ব হবে ৬ ইঞ্চি এবং দুটি সারির পারস্পরিক দূরত্ব হবে ২ হাতের মতো।
চারা একটু বড় হলে “ডায়াথেন এম-৪৫” এবং “রোভরাল” ওষুধ ১০ লিটার জলে প্রতিটি ওষুধ ২ চা-চামচ করে মিশিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। এতে চারার বৃদ্ধি ভালো হবে। গাঁদা গাছে প্রধানতঃ ছত্রাক ঘটিত রোগের উপদ্রব দেখা যায়। গাঁদা গাছের পাতায় বাদামী দাগ পরে পচা কালো রূপ নেয়। ফুলেও বাদামি দাগ আসে। মিশ্র ছত্রাকনাশক ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে আঠা সহযোগে স্প্রে করলে ছত্রাকের উপদ্রব কমে।