স্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি কুমড়ো। শুধু এর ফসলই নয়, পাতা ও কান্ড শাক হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। এমনকি পুরুষ ফুলটিও বিভিন্ন তেলেভাজা তৈরির জন্য ব্যবহার করে বাঙালি।
প্রথমে ৫-৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে। এরপর গোবর সার, পাতা পচা সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। চারা রোপণের মাস খানেক আগে জমিতে ১.৫ ফুট X ১.৫ ফুট মাপের গর্ত তৈরি করে নিতে হবে। ৬ ফুট পারস্পরিক দূরত্ব রেখে সারি তৈরি করে নিতে হবে। চারা রোপণের ১০-১২ দিন আগে গর্তের মাটির সাথে জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে।
কুমড়ো বীজ সরাসরি মাটিতে লাগানো যায়। অথবা অনেকে পলিথিনের প্যাকেটে চারা তৈরির পরেও রোপন করেন। চারা এসে গেলে নিয়মিত সেচ, আগাছা উৎপাদন, পরিচর্যা আবশ্যক। গাছ বড় হওয়ার পর গোড়ার দিকে একাধিক শাখা এলে দুর্বল শাখা গুলি কেটে নেওয়া আবশ্যক। এরপর গাছে ফুল এলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে পুরুষ ফুলের রেণু স্ত্রী ফুলের উপর ছড়িয়ে দিলে উৎপাদন বাড়বে। চারা রোপণের ৩ থেকে ৪ মাস পর গাছ থেকে কুমড়ো তোলার উপযোগী হয়। ফল হলুদ বা হলদে বাদামী রঙ ধারণ করলে তুলে নিতে হয়।