বাঙালির রান্নার অন্যতম অপরিহার্য মশলা হলুদ। মসলা হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও অনেক ধরণের প্রসাধনী কাজে, রং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া হলুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অসাধারণ।
উর্বর দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি হলুদের জন্য আদর্শ। জমি তৈরির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও ৮০ কেজি এমওপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়। প্রতি হেক্টরের হিসাবে সারের পরিমাণ গোবর ৪-৬ টন, ইউরিয়া ২০০-২৪০ কেজি, টিএসপি ১৭০-১৯০ কেজি, এমওপি ১৬০-১৮০ কেজি, জিপসাম ১০৫-১২০ কেজি ও জিংক সালফেট ২-৩ কেজি। চৈত্র মাসে জমিতে হলুদের কন্দ লাগানো হয়। একসারিতে ৫০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগাতে প্রতি হেক্টরে ২৫০০ কেজি কন্দ প্রয়োজন হয়।
কন্দ লাগানোর পর ভেলি করে নেওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন জল না দাঁড়ায় তাই নালা করে জল নিষ্কাশন গুরুত্বপূর্ণ। হলুদে মাঝরা পোকা, বিছা পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। লাগানোর ৯-১০ মাস পর পাতা শুকিয়ে গেলে হলুদ সংগ্রহ করা যেতে পারে।