দাম্পত্য অশান্তিকে কেন্দ্র করে ১৪ মাসের শিশু কন্যাকে আছাড় মেরে হত্যার অভিযোগ উঠল শিশুটির বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে হাওড়ার আমতায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আমতার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকুড়া এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পালের সঙ্গে বাগনানের পূর্ব বাইনান মাইতি পাড়ার তনুশ্রী বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন বছর তিনেক আগে। অভিযোগ, বিবাহের পর থেকেই পনের দাবিতে প্রসেনজিৎ স্ত্রী-এর উপর নির্যাতন চালাতেন। নেশা করার জন্য স্ত্রী গয়নাও বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর তনুশ্রী সন্তানসম্ভবা হলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির বাসনা ছিল পুত্রসন্তানের। তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। প্রতিবেশীরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করাও হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। নিজের বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন তনুশ্রী।
জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়িতে এক আত্মীয় মারা গেলে শিশুকন্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসেন তনুশ্রী। সেই সময়েই সেখানে তাঁর উপরে অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রসেনজিৎ শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দেন। এরপরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক এমআরআই করানোর ও চিকিৎসা চালানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির তরফে চিকিৎসার জন্য কোনোরকম আর্থিক সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে বারংবার জ্ঞান হারাতে থাকে শিশু কন্যাটি। কার্যত বিনাচিকিৎসায় থাকে সে। বৃহস্পতিবার তার জ্ঞান হারালেও আর ফেরেনি। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।