গৃহবধূ ‘কালো’ হওয়ায় শ্বশুর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

গৃহবধূ 'কালো' হওয়ায় শ্বশুর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

গৃহবধূর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুর বাড়িতে চলত মানসিক নির্যাতন। শুনতে হত গঞ্জনা। এমনকি স্বামী জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কেও, এমনটাই অভিযোগ বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের। যুবতী গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে কালনার পূর্বস্থলীর বড় ধামাস এলাকায়।

জানা গিয়েছে, হুগলির ভদ্রেশ্বরের এন এস রোড ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা সরোজিনীর সঙ্গে বছর তিনেক আগে কালনার পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড় ধামাস গ্রামের বাসিন্দা দেবার্ঘ্য ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয়। পরস্পরের ছবি দেখে একে অপরকে পছন্দ করেন ও ধীরে ধীরে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর দুজনে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন। দুই পরিবারের তরফে সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও বিয়ের এক বছর পর থেকে সমস্যা দেখা দিতে থাকে।

সরোজিনীর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গঞ্জনা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। এমনকি জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এডিট করা ছবি দেওয়া হয়েছিল এবং ফেসবুক দেখে এত কালো বুঝতে পারেননি বলেও মন্তব্য করতেন। সেই সঙ্গে আরও অভিযোগ, তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। এরপরেই রহস্যজনক ভাবে সরোজিনীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ইতিমধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী দেবার্ঘ্য  ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ