অসাধারণ পদ্ধতি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের, এবার মাটি ছাড়াই ফলানো যাবে ফসল

অসাধারণ পদ্ধতি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের, এবার মাটি ছাড়াই ফলানো যাবে ফসল

বর্তমান সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাসস্থান বৃদ্ধি, শহর কেন্দ্রিক স্থানে চাষের জমির সংকোচন ক্রমশ জনপ্রিয় করে তুলছে আধুনিক হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষকে। এই পদ্ধতিতে মাটি ছাড়াই শুধুমাত্র পুষ্টিযুক্ত জলের দ্রবণকে ব্যবহার করেই ফলানো যাবে ফসল।

অনুর্বর এবং উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা থেকে শুরু করে শহর কেন্দ্রিক অঞ্চল যেখানে ক্রমশ কমে আসছে কৃষি যোগ্য জমির পরিমাণ, সেই সমস্ত অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে মাটিতে চাষের বদলে মুশকিল আসান হয়ে উঠতে পারে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ। তাছাড়া এই চাষের একাধিক সুবিধা রয়েছে। মাটি লাগে না, শুধুমাত্র নিউট্রিয়েন্ট দ্রবণ ব্যবহার করে শহরের বদ্ধ জায়গায় ফলানো যায় ফসল, সারা বছরই চাষ করা যায়, উৎপাদিত ফসলে কীট পতঙ্গের উৎপাত কম হওয়ায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। বর্তমানে আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চিন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো দেশে বাণিজ্যিক ভাবে ফলনের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই পদ্ধতিতে রোপনের জন্য মাটির মত মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। পটে পাথর নুড়ি বা স্পঞ্জ দিয়ে পূর্ণ করে তাতে শুধু চারা উৎপাদন করা হয়। তবে গাছের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য নিউট্রিয়েন্ট দ্রবণ সরবরাহ করতে হয়। দুই পদ্ধতিতে এই চাষ হয়ে থাকে সঞ্চালন পদ্ধতি ও সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতি। সঞ্চালন পদ্ধতিতে যে মিডিয়া বিহীন পাত্র গুলিতে রোপন করা হয় সেগুলি পাইপ দিয়ে যুক্ত করে পাম্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় নিউট্রিয়েন্ট দ্রবণ সরবরাহ করা হয়। এতে গাছের পুষ্টি ও অক্সিজেনের যোগান অব্যাহত থাকে। সঞ্চালন বিহীন পদ্ধতিতে জৈব উপাদানের মধ্যে কাঠের গুড়া এবং ধানের তুষ বা তার ছাই ব্যবহার করা হয়।

তাতে রোপনের পর এতে ড্রিপিং পদ্ধতিতে নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করতে হয়। আবার তৃতীয় একটি পদ্ধতিও আছে। তবে এটি বিশেষ ব্যবহৃত হয় না। এই পদ্ধতিতে স্প্রে করার মাধ্যমে নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করা হয়।

এই কথা বলাই যায়, ক্রমশ জনবিস্ফোরণের দিকে এগিয়ে চলা পৃথিবীতে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ ভবিষ্যৎ নির্দেশ করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ