মুলো চাষের কায়দাকানুন জেনে নিন একনজরে

মুলো চাষের কায়দাকানুন জেনে নিন একনজরে

প্রচুর পরিমানে ক্যারোটিন, ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ ভরপুর মুলো যেমন সবজি হিসেবে কদর পায়, তেমনই মুলো গাছ শাক হিসেবে বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে। মূলত শীতকালীন সবজিটির খরিপ মৌসুমের শেষে ও রবি মৌসুমের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে।

বর্তমানে বহু জাতের হাইব্রিড মুলোর চাষ হচ্ছে। বারি মূলা ১, বারি মূলা ২, বারি মূলা ৩, এভারেষ্ট, হোয়াইট প্রিন্স, বিপ্লব ৯৪, হিমালয় এফ১, সুপার ৪০, মুক্তি এফ১, তাসাকী প্রভৃতি তাদের মধ্যে অন্যতম। উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে অধিক জলনিষ্কাশন ক্ষমতা যুক্ত বেলে দোআঁশ মাটি মুলো চাষের জন্য সর্বোত্তম।মুলোর বীজ বপন করা হয় সাধারনত আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসের মধ্যে।

জমি তৈরির সময় হেক্টর প্রতি ১.৫ থেকে ২ টন গোবর পচা সার মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর লাগে টিএসপি সার ২০ কেজি, ইউরিয়া সার ৪০-৪৫ কেজি ও মিউরেট অব পটাশ ২৫-৩০ কেজি। টিএসপি সম্পূর্ণ ও মিউরেট অব পটাশের অর্ধেক জমিতে দিতে হবে। এরপর বীজ বপনের তৃতীয় ও পঞ্চম সপ্তাহে বাকি মিউরেট অব পটাশ ও ইউরিয়ার মিশ্রণ অর্ধেক অর্ধেক করে দিতে হবে। বীজ বপনের ৭-১০ দিন পর অতিরিক্ত চারা তুলে সারি পাতলা করতে হবে। উপযুক্ত বৃদ্ধির জন্য দুই সারির দূরত্ব হতে হবে ২৫-৩০ সেমি। ফ্লি বিটল, করাত মাছি বা মাস্টার্ডস ফ্লাই, বিছা পোকা ও ঘোড়া পোকা মুলো গাছের ক্ষতি করে। নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ