কিভাবে ডালিয়া ফুলের চাষ করবেন

কিভাবে ডালিয়া ফুলের চাষ করবেন

ডালিয়া ফুলের চাষ – ডালিয়া এক ধরনের গুল্মজাতীয়, কন্দযুক্ত, সপুষ্পক ভেষজ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা সহজেই আপনার ফ্ল্যাটের বারান্দায় বা ছাদে অল্প স্থানে চাষ করা যেতে পারে।

শীতকালীন ফুলের (Flower Cultivation) মধ্যে ডালিয়া অন্যতম। অসম্ভব সুন্দর এই ডালিয়া ফুলের পাপড়ির দৃষ্টিনন্দন বিন্যাস ও বর্ণ বৈচিত্র্যের জন্য এটি সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ডালিয়া ফুল বিভিন্ন আকারের ও লাল, সাদা, কমলা, বেগুনি, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের হয় শুধু নীল আর সবুজ রঙ ছাড়া। এই ফুলের উল্লেখযোগ্য কিছু জাত হচ্ছে সিংগেল ডালিয়া, কলারেট ডালিয়া, স্টার ডালিয়া, ডেকোরেটিভ ডালিয়া, অ্যানেমনি ডালিয়া, স্টারলেট কুইন, হোয়াইট ষ্টার, ক্যাকটাস ডালিয়া, ইত্যাদি।

কিভাবে ডালিয়া ফুল চাষে টব/মাটি তৈরি করবেন ?

ডালিয়া ফুল মূলত সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়।
তবে সুনিস্কাশিত দোআঁশ অথবা বেলে দোআঁশ মাটি ডালিয়া ফুল চাষের জন্য সর্বোত্তম। এতে ফুলের ভাল ফলন পাওয়া
যায়।

ডালিয়া ফুল চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেন :

ডালিয়া ফুল ছাদে চাষ করার জন্য আপনি মাঝারি সাইজের টব অথবা হাফ ড্রাম সংগ্রহ করতে পারেন।
এছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে চাষ করার জন্য সামান্য কিছু জায়গা নিয়ে স্বল্প পরিসরে আপনি এই ডালিয়া ফুলের চাষ করতে পারেন।
ডালিয়া ফুল চাষ/রোপনের সঠিক সময়:

আমাদের দেশে বছরের যেকোন সময়েই আপনি ডালিয়া ফুলের চাষ করতে পারেন।
তবে আশ্বিণ মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস ডালিয়া ফুল চাষের জন্য উত্তম সময়।
এসময় ডালিয়া ফুলের চারা লাগালে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

চারা উৎপাদন বা বংশবিস্তার:
বীজ, মূলজ কন্দ, শাখাকলম এবং ত্রে বিশেষে জোড় কলমের সাহায্যে ডালিয়া বংশ বিস্তার করে।
বীজের চারায় মাতৃগাছের গুণাগুণ সমুন্নত থাকে না, অনেক সময় ডবল শ্রেণির বীজে জন্মানো গাছে সিঙ্গল শ্রেণির ফুল ফোটে ও ফুলের বর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। তাই বীজের চারার ব্যবহার অত্যন্ত কম।
প্রয়োজনে আশ্বিন-কার্তিক মাসে স্বাভাবিক নিয়মে চারা উৎপাদন পূর্বক ২৫-৩০ দিন বয়সে জমিতে বা টবে রোপণ করা চলে।

জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ:
পরিবেশে আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত সময়ে জমিতে বা টবে ডালিয়ার চারা রোপণ করা যায়।
ডালিয়ার মাটি গভীরভাবে নরম ও ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হয়।
প্রতি ১০০ বর্গ মিটার জমিতে ২০০ কেজি গোবর/কম্পোষ্ট, ৩ কেজি কাঠের ছাই (দেড় কেজি এম পি) ও ২ কেজি হাড়ের গুঁড়ো (দু’কেজি টি এস পি) সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয়।
টবে চাষের জন্য ২ ভাগ দো-আঁশ মাটি, ২ ভাগ বালি, ২ ভাগ কাঠের ছাই, ১ ভাগ পাতা পচা সার, ১ ভাগ গোবর/কম্পোষ্ট, ১ ভাগ খৈল ও ১ ভাগ হাড়ের গুঁড়ো মিশিয়ে সার মাটি তৈরি করতে হয়।

ফুল সংগ্রহ:
জমিতে বা বড় টবে গাছ লাগানোর ৬০-৭০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ফোটে।
ফুল সম্পূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হবার কিছু আগে সন্ধ্যার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডাঁটি সমেত ফুল কেটে সংগ্রহ করা উত্তম। এতে ফুল অধিক সময় থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ