ডিম উৎপাদন লাভজনক করতে পোলট্রি খামারে মুরগির বিশেষ পরিচর্যা প্রয়োজন। মুরগির সাথে মোরগের প্রতিপালন সমান গুরুত্বের। পোলট্রি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত–
১: ওজন ১৪০০–১৫০০ গ্রাম হলে মুরগি ডিম পাড়তে শুরু করে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মুরগির দেহের ওজন কোনভাবে ২৫–৫০ গ্রামের বেশি না বাড়ে। দেহে ফ্যাট বেশী জমলে পরবর্তীকালে ডিমের পরিমাণ কমে যেতে থাকে।
২: মুরগি ও মোরগের অনুপাত ৫:১ রাখতে হয়।
৩:ঘরের মেঝে থেকে ৮–১০ ইঞ্চি উপরে প্রতি ৫–৬ টি পাখি প্রতি একটি করে ডিম পাড়ার বাক্স রাখতে হবে। ডিম পাড়ার বাক্সে ৩–৪ ইঞ্চি পুরু নরম জিনিস ব্যবহার করতে হবে যাতে ডিম ভেঙে না যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নরম জিনিস টি পরিবর্তন করতে হবে।
৪:ডিম পাড়ার সময় প্রাকৃতিক আলো ছাড়াও কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয়। প্রাকৃতিক আলো ও কৃত্তিম আলোর মোট সময় প্রায় ১২ ঘন্টা + ৫ ঘন্টা = ১৭ ঘন্টা আলোর প্রয়োজন হয়। ভোর বেলা ও সন্ধ্যের সময় এই কৃত্তিম আলো দিতে হবে।
৫:মুরগি পালন লাভজনক করতে খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। মুক্তাঙ্গনে ও খামারে পালিত মুরগিকে খাবারের উচ্ছিষ্ট, পোকামাকড়, সবজির খোসা, মুড়ি, চাল, ক্ষুদ, কুঁড়ো, ভাতের মাড় ইত্যাদির সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজ লবন মিশিয়ে দিলে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মুরগির খাবারে গেঁড়ি গুগলি থাকলে মুরগির প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা মেটে ও ডিমের খোসা মোটা হয়, সহজে ভাঙে না ।
৬:মুরগিকে নিয়মিত সবুজ খাদ্যের সরবরাহ দিলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।
৭:খামারের মুরগির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন।
৮:মুরগির খাবারের পাত্র সপ্তাহে একদিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ও জলের দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।যাতে খাবার পাএ পরিস্কার থাকে।