শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি, বঞ্চিত এসএসসি চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ স্তব্ধ। সিঙ্গেল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্টে আইনি প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। আর স্বচ্ছভাবে নিয়োগের আসল কাজটি শত যোজন দূরে চলে যাবে। খুব বেশি হলে নামমাত্র দু’চারদিনের হয়তো সাজা হবে, জেল হবে কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত বেকারগণ সারা জীবনের মতো শেষ হয়ে যাবে।
ওরা খুব অসহায়। দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস ওরা রাস্তায়! বছরের পর বছর নিয়োগ নেই! শিক্ষিত বেকারগণ হাহাকার করছে। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য এসএসসি-র নোটিফিকেশন নেই! যেটুকু নিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে বিরাট একটা অংশে চরম দুর্নীতি!!
শুধু আইন দিয়ে এর প্রকৃত সমাধান হবে না। দুর্নীতি ও তার তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া– এ এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সকলের অভিজ্ঞতাগুলো একবার ঝালিয়ে নিন। সবাই আমরা তদন্তের দিকে হাঁ করে বসে থাকবো। আর এদিকে উচ্চ শিক্ষিত বেকারগণ বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে করতে তাদের নিয়োগের আসল প্রক্রিয়াটাই অধরা থেকে যাবে। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় গুলি আজ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শূন্যতায় ভুগছে। শিক্ষা আজ বিপন্ন! এইভাবে ধীরে ধীরে মানুষকে বেসরকারি বিদ্যালয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু বঞ্চিত বা উচ্চ শিক্ষিত বেকাররাই নয়, শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের দায়িত্ব অনেক। ফলে শিক্ষাকে বাঁচানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ সবাই আসুন। আমাদের কোন দল নেই। তাই আমরা কোন হুইপ দিতে পারি না। কেবল আপনাদের বিবেকের কাছে আবেদন জানাতে পারি।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের ডাকে ২৯ এপ্রিল, শুক্রবার, বেলা ১ টার সময় কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ মিছিলে আপনাদের অংশগ্রহণ সার্বিক শিক্ষা রক্ষার আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।
শক্তিশালী আন্দোলনই পারবে নিয়োগ, তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে। আসুন সেই আসল কাজটা আমরা করি।–কিংকর অধিকারী