অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীর বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ , সঙ্গে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে মিলছে দুর্ব্যবহার। এরইমধ্যে গত চারদিন ধরে খাবার না দিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী।এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় শিশুদের মায়েরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি অফিসের সামনে। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হরিশ্চন্দ্রপুর ১নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর পূর্বপাড়ায়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে ৩দিন ডিম-ভাত ও ৩ দিন খিচুড়ি-ডিম পাবে প্রসূতি মা ও শিশুরা। তবে খাবারে ডিম না দিয়ে প্রতিদিন খিচুড়ি দিচ্ছে বলে অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী মৌসুমী চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এমনকি ডিম চাইতে গেলে সেন্টারের কর্মীর থেকে মহিলাদের কপালে জুটছে দুর্ব্যবহার।
পাশাপাশি সেই খিচুড়ি এতটাই জঘন্য খেতে হয় যে মুখে তোলা যোগ্য থাকেনা। এছাড়াও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ৪দিন ধরে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে সেন্টারে না আসার। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রসূতি মা ও শিশুদের খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
শুধু তাই না, ওই সেন্টারে খাবার নিতে মায়েদের সঙ্গে শিশুরাও যায়। শিশুরা কখনো চিৎকার করলে , যাতে ওই শিশুদের সেন্টার থেকে বার করে দিতে পারে , সেই জন্য নিজের স্বামীকেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যান অভিযুক্ত মৌসুমী। তবে ওই সেন্টারের কর্মী সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। অবিভাবকরা দিনের পর দিন এই প্রতারণা মানতে না পেরে ফাঁকা বাটি ও ফাঁকা থালা নিয়ে অফিসের সামনে বসে দীর্ঘক্ষন ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করে।
এ প্রসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী চৌধুরী জানিয়েছেন,’আমি খাবার ঠিক মতোই দিচ্ছি। ডিমও সরকারি তালিকা অনুযায়ী দিচ্ছি। আমার মায়ের অসুস্থতার কারণে এই ৪দিন যেতে পারিনি। আমি এই ৪দিনের খাবার দিয়ে দেব। আমি আমার স্বামীকে নিয়ে যাই শুধুমাত্র সাহায্যের জন্য। আমার বিরুদ্ধে আসা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে’।
এ প্রসঙ্গে এক শিশুর অবিভাবক জানিয়েছেন, ‘আমি এখানে খাবারের জন্য এসেছি। কোনোদিন খাবার দিচ্ছে , কোনোদিন দিচ্ছে না। এমনকি কিছু বলতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এখানে পুরুষদের উপস্থিতি নিয়ম বিরুদ্ধ। তারপরে ওই কর্মীর স্বামী এখানে বসে সবাইকে গালিগালাজ করছে। এমনকি খাবারের স্বাদও খুবই জঘন্য যেটা মুখে তোলা যায় না’।