পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা শুভজিৎ দোলই। আপাত এই অখ্যাত গ্রাম এখন সমাজমাধ্যমে বিখ্যাত ইনস্টাগ্রাম ও সাত বছরের শুভজিৎ এর বিস্ময়কর ব্যাটিং দক্ষতার সৌজন্যে। তাতেই মুগ্ধ হয়ে খড়গপুর এসে শুভজিতের প্রতিভা চাক্ষুস করে ১৩ বছর বয়স থেকে তার সমস্ত ক্রিকেটীয় দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক মেলবোর্নের বাসিন্দা এলিজা ক্যাশন।
আড়াই বছর বয়সে ক্রিকেটীয় শিক্ষা শুরু শুভজিৎ এর। তারপর অনায়াসে রপ্ত করেছে স্কোয়ার কাট, কভার ড্রাইভ, পুল, সুইপ প্রভৃতি। ১২০-১৩০ কিলোমিটার গতিবেগের বলকে সহজেই বিভিন্ন শটে মাঠের বাইরে পাঠানোর তার ভিডিও আপলোড হয় ইনস্টাগ্রামে। একটির ভিউ ৪০ লক্ষ, অন্যটির ৬০ লক্ষ। সেই ভিডিও চোখে পড়ে মেলবোর্নের বাসিন্দা এলিজা ক্যাশনের। শুভজিতের প্রতিভায় মুগ্ধ হন তিনি। ইনস্টাগ্রামে চ্যাটে শুভজিতের বাবা পিন্টু দোলই এর কাছে খড়গপুরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। ব্যবসায়িক কাজে ভারতে এসে দিন কয়েক আগেই রাধানগর গ্রামে আসেন এলিজা। গ্রামের মাঠের নেটে নিজে হাত ঘুরে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন শুভজিতের প্রতিভা। তারপরই শুভজিতের ১৩ বছর বয়স হলেই তার সমস্ত ক্রিকেটীয় দায়িত্ব নেওয়ার ও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার আগে অভিজিৎকে একটি ডিউস বল ও নগদ ১২ হাজার টাকা উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এখন ৭ বছরের ক্ষুদের ব্যাটিং প্রতিভাকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন দেখছেন খড়গপুর তথা পশ্চিম মেদিনীপুরবাসী।