স্বামীর ঘরে থাকতে চাই। মাথায় সিঁদুর পরে এই দাবিতে এক তরুণীর ধর্নাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো পুরুলিয়ার কেন্দা থানার দরোডি গ্রামে। গ্রামের একটি বাড়ির দাওয়ায় এদিন সকাল থেকেই ওই তরুণীকে পরে থাকতে দেখা যায়।
তরুণীর দাবি, ওই বাড়ির ছেলে নীলকমল গোপ রাতেই তাকে সিঁদুর দিয়ে বিয়ে করে। এরপর শ্বশুর বাড়ি এলে তাকে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উল্টে তাকে মারধর করা হয়। তখন থেকেই উধাও হয়ে যায় তার স্বামীও। ঘটনায় কেন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে।
রীনা গোপের নামে ওই তরুণী জানিয়েছে, নীলকমলের সঙ্গে গত দুবছর ধরে তার সম্পর্ক রয়েছে। আদতে দরোডির বাসিন্দা হলেও সে হাওড়ায় থাকে। সেখানেই কলেজে পড়াশোনা করে। যুবতীর দাবি মোবাইল মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এরপরই গতকাল গ্রামের কয়েকজন এবং তার আত্মীয়দের সামনে তাকে বিয়ে করে সে। শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে গেলে তাকে প্রহার করা হয়।
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে নীলকমলের ঠাকুমা বিলাসী গোপ বলেন, বিয়ে নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি। নীলকমল হাওড়ায় থাকে। এই দাবী জানিয়ে, তিনি বলেন এই বাড়ির সঙ্গে নীলকমলের কোন সম্পর্ক নেই। বিয়ে হয়ে থাকলে সে নীলকমলের নিজের বাড়িতে চলে যেতে পারে। ওই তরুণীর আগেও একটি বিয়ে রয়েছে, বর্তমানে সেই বিয়ে নিয়ে একটি মামলাও চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যা কিছু সে করছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ওই তরুণীর মাসি থুপি গোপ বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। এই বিয়ে ছেলের পরিবারের লোকেরা মেনে নিন এটাই চান তারা। না হলে আইন মাফিক ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।