গবেষণার জন্য বেছে নিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধের জীবন। অবশেষে ১০ই মে ডি.লিট প্রদান করা হয় প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠকে। এরপর ২৮ শে মে শনিবার হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি সত্যেন্দ্রনাথ বোস প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানিত করা হল কর্ণাটক সরকারের অধীন টুমুকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
সাধারণত বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিকদের সাম্মানিক পিএইচডি বা ডি.লিট পেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম লক্ষণ শেঠ। ২০১৯ সালে কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘গান্ধীজীর গণতন্ত্র ভাবনা ও বর্তমানে তার প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। তারপর ডি.লিট গবেষণার জন্য বেছে নেন গৌতম বুদ্ধের জীবনকে। গবেষণা পত্র জমা দেওয়ার পর টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কর্নাটক বিশ্ববিদ্যালয়, কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়, বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় ও গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপকরা তাঁর কাজ ও গবেষণাপত্র খতিয়ে দেখেন। প্রথা মাফিক ৫টি পর্যায় পের হওয়ার পরই তাঁকে ডি.লিট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচিত হয়।
শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (মূল্যায়ন) ডঃ নির্মল রাজু নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সে ডঃ লক্ষণ শেঠের পিএইচডি অর্জন যেমন বিরল উদাহরণ, তেমনই ৭৩ বছর বয়সে সম্পূর্ণ গবেষণা ও তার বিভিন্ন পর্যায়ের মাধ্যমে ডি.লিট অর্জন কঠিন ও বিরলতম।