পাঠাগার পরিচালন কমিটি গঠনে অনিয়ম এবং অনিয়মিত পাঠাগার খোলার অভিযোগে লাইব্রেরীয়ানের বিরুদ্ধে সরব হলেন পাঠকরা। পাঠকদের বিক্ষোভে দীর্ঘক্ষণ একপ্রকার অবরুদ্ধ লাইব্রেরীয়ান। ঘটনা গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের আলমপুর ৬ নম্বর অঞ্চলের ‘আলমপুর উপাময়ী স্মৃতি গ্রামীণ পাঠাগার’ এর। পাঠাগারের গ্রন্থাগারীক মৃণাল কান্তি মাইতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন গ্রন্থাগারের স্থানীয় সদস্যরা। অভিযোগ, লাইব্রেরীয়ান পাঠকদের কোন রকম না জানিয়ে একপ্রকার অন্ধকারে রেখে পরিচালন কমিটি গঠন করেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান হলেও আলমপুর লাইব্রেরীটি নিয়মিত খোলেন না লাইব্রেরীয়ান। অভিযোগ,মাসে মাত্র দু’দিন লাইব্রেরীটি খোলা থাকে। তাও আবার কোন রকম নোটিশ ছাড়া।ফলে বেশিরভাগ দিন মানুষ বই, পত্র, পত্রিকা পড়ার প্রয়োজনে লাইব্রেরীতে এসে ফিরে যান।তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আলমপুর উপাময়ী স্মৃতি পাঠাগার এর লাইব্রেরীয়ান মৃণাল কান্তি মাইতি বলেন, কমিটি গঠন এর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।জেলা এল এল এ(LLA) পক্ষ থেকে যে ভাবে নির্দেশ এসেছিল সে ভাবেই জেলা থেকে সুপারিশ করা দুজনকে সভাপতি এবং সম্পাদক নির্বাচন করা হয়েছে।পরে সেই দুজনই তাঁদের পছন্দ মতো পরিচালন কমিটি তৈরি করেছেন। অন্যদিকে আলমপুর লাইব্রেরীর নবনির্মিত সম্পাদক চতুর্ভূজ পাত্র বলেন, আমার নাম কিভাবে জেলা থেকে পাঠানো হল তা জানি না তবে আগে কয়েকবার লাইব্রেরীটির এডহক হিসাবে আমার নাম সুপারিশ হয়েছিল।তবে তার পদ পাওয়া নিয়ে লাইব্রেরীর সদস্যদের অসন্তোষ এর বিষয়টি অস্বীকার করে চতুর্ভূজ পাত্র বলেন, অভিযোগ পড়লে ভেবে দেখতে পারি।তার আগে নয়।