দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা থানার পাতিবুনিয়া ২ ঘেরি এলাকায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ভাসুর সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভাসুর। ২ জন পলাতক।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে বকখালীতে থাকায় পুত্রকে নিয়ে একাই থাকতেন ঐ গৃহবধূ। সেই সুযোগে তাঁকে প্রায়ই ভাসুর কুপ্রস্তাব দিতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ভোর ৪টে নাগাদ তিনি শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। তখনই অভিযুক্তরা তাঁকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির দোতলায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। এরপর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্য নির্যাতিতার গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার সময় তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা চলে এলে অভিযুক্তরা পলায়ন করে। কিন্তু লজ্জায় ও ভয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি নির্যাতিতা। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশ ও চিকিৎসকদের কাছে তিনি ঘটনার বয়ান দেন। মূল অভিযুক্ত ভাসুর অমল খাটুয়া গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিরা পলাতক।