চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
সর্প আতঙ্ক দীঘার সৈকতে! সৈকতের বালিতে দেখা মিললো ‘ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক’। যার একটি ছোবল মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। এমনকি কাজ করবে না কোন রকম ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনম’ও!সাপ নয় সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত৷
বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘পেলামিক প্লাটুরাস’। সাধারণভাবে ‘ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক’ নামে পরিচিত এই সামুদ্রিক সাপের সাধারণ বাসস্থান আরব সাগর। আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বা এই সাপের লেজের দিক নৌকার মতো এবং পেটের নীচ হলুদাভ। তীব্র বিষধর এই সাপের দংশনে প্রথমে শরীর হবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তারপর একে একে হৃদপিণ্ড, কিডনি বিকল হবে। তারপর শরীরের অন্যান্য যন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু। কিন্তু ভিন সাগরের এই সাপের দেখা মিলেছে দীঘার সমুদ্র সৈকতে। একদল পর্যটক সাপটি সৈকত থেকে ঢেউয়ের টানে পুনরায় সমুদ্রে চলে যাওয়ার আগে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। যদিও তার সত্যতা যাচাই GNE Bangla-র তরফে করা হয়নি৷ কিন্তু ঘটনা সত্যি এমন আশঙ্কা করে প্রমাদ গুনছেন সর্প বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত চার প্রজাতির বিষধর সাপের হদিস মেলে। কালাচ, কেউটে, গোখরো ও চন্দ্রবোরা। শঙখচূড় ও শাখামুটি থাকলেও তার মানুষে দংশণের উদাহরণ বিরল। অন্য চারটি প্রজাতির সাপের দংশনের ক্ষেত্রে সাধারণত সঠিক সময়ে অ্যান্টি স্নেক ভেনম দেওয়া গেলে ও চিকিৎসা শুরু হলে রোগী বিপদমুক্ত হন। কিন্তু আরব সাগরের বাসিন্দা এই তীব্র বিষধর ‘ইয়েলো বেলিড সি-স্নেকে’র বিষ ‘মায়োটক্সিক ভেনম’। যা আক্রান্তের পেশি অকেজো করে দেয়। ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনম’ কাজ করে না। ফলে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু। ফলে রাজ্যের বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে এর উপস্থিতি বিশেষতঃ মৎস্যজীবীদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের।