কালীপুজোর আগের রাতে কৃষ্ণপক্ষের ১৪তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন ভূত চতুর্দশী। ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো হয় ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায়। খাওয়া হয় গুলঞ্চ, শুষণী, হিলঞ্চ, জয়ন্তী, ওল, বেতো, সরষে, নিম, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, ভাটপাতা, কেঁউ, এবং শৌলফ -মোট ১৪টি শাক। এইদিনটি নরক চতুর্দশী নামেও পরিচিত। পুরাণ অনুযায়ী, এই দিন কৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করেন।
পুরাণে বর্ণীত কাহিনী, বিষ্ণু বরাহ অবতারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হলে তাঁর স্পর্শে পৃথিবীর গর্ভে আসে নরকাসুর৷ তিনি বিষ্ণু ও পৃথিবীর সন্তান। সীতার জন্মগ্রহণ স্থানেই পৃথিবীর গর্ভ থেকে নরকাসুর জন্ম নেন। রাজা জনক তাকে প্রতিপালন করেন ও বিষ্ণু তাকে প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা করেন। কিন্তু নরকাসুর বানাসুরের সাহচর্যে অত্যাচার শুরু করেন। ব্রহ্মাকে তপোবলে সন্তুষ্ট করে নরকাসুর বর পেয়েছিলেন দেবতা, রাক্ষস, অসুর প্রভৃতি কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঋষি বশিষ্ঠ অভিশাপ দেন বিষ্ণুর হাতে তার নিধন হবে।
এরপর নরকাসুর দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাস্ত করে স্বর্গ অধিকার করে। নরকাসুরকে পরাস্ত করতে না পেরে কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন দেবরাজ। ঘোরতর যুদ্ধের পর কৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে তাকে দুই টুকরো করেন। সেই দিনটি নরক চতুর্দশী নামেও পরিচিত।