Bhoot Chaturdashi : ভূত চতুর্দশী, বামন অবতার ও দৈত্যরাজ বলির গল্প

Bhoot Chaturdashi : ভূত চতুর্দশী, বামন অবতার ও দৈত্যরাজ বলির গল্প

দীপাবলির আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। কালীপুজোর আগের রাতে কৃষ্ণপক্ষের ১৪তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন এই ভূত চতুর্দশী। মহালয়ায় জল দানের মতোই পূর্ব চতুর্দশ পুরুষের উদ্দেশ্যে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো হয় ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায়। খাওয়া হয় গুলঞ্চ, শুষণী, হিলঞ্চ, জয়ন্তী, ওল, বেতো, সরষে, নিম, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, ভাটপাতা, কেঁউ, এবং শৌলফ -মোট ১৪টি শাক। এইদিনটির সাথে জড়িয়ে আছে পৌরাণিক বিশ্বাস ও কাহিনী। যার মধ্যে অন্যতম হল দৈত্যরাজ বলি ও বামন অবতারের গল্প।

বিষ্ণুর অন্যতম উল্লেখযোগ্য ভক্ত ছিলেন প্রহ্লাদ৷ নৃসিংহদেব অবতারে বিষ্ণুর হিরণ্যকশিপু বধের গল্প সবাই জানেন। এই ভক্ত প্রহ্লাদের উত্তরপুরুষ দৈত্যরাজ বলি। বাহুবলে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল দখল করেন তিনি। স্বর্গ হতে বিতারিত দেবতারা বিষ্ণুর দ্বারস্থ হন। তখন ভগবান বিষ্ণু বামন ব্রাহ্মণের অবতারে বলির কাছে আসেন। বলি তখন যজ্ঞ করছিলেন। যজ্ঞের শেষে প্রতিশ্রুতি বিধি অনুযায়ী রাজা বলির কাছে তিন পা মাপের ভূমি খন্ড প্রার্থণা করেন বামন। নিজের পূর্বপুরুষ প্রহ্লাদের মতোই রাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। তাই অবতার রূপ চিনেও তিনি জমি দিতে সম্মত হন।।

বামন অবতার দুই পা স্বর্গ ও মর্ত্যে দিলেন। এরপর নাভি থেকে তৃতীয় পায়ের আবির্ভাব হল। বিষ্ণু তৃতীয় পা রাখার জন্য জায়গা চাইলেন। রাজা বলি নতমস্তকে নিজের মস্তক এগিয়ে দিলেন। বামন অবতার বলির মস্তকে পদ রেখে তাঁকে পাতাললোকে প্রবেশ করালেন। কিন্তু বলির ভক্তিতে মুগ্ধ হলেন বিষ্ণু এবং রাজা বলিকে পুজো পাওয়ার আশীর্বাদ করলেন। বিশ্বাস, কালীপূজার আগের রাতে রাজা বলি পাতাল থেকে পৃথিবীতে পূজা নিতে আসেন। তাঁর সঙ্গে আসে সহস্র ভূত, প্রেত, অশরীরী আত্মা। তাই ভুত চতুর্দশীর রাতে অমঙ্গল ও অশুভ শক্তিকে বাড়ি থেকে দূরে রাখার বিশ্বাসে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে ১৪ শাক খান গৃহস্থরা।

 

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ