উদ্ভিদ জগতের এক বিচিত্র বর্ণময় ক্ষেত্র এই অর্কিড। ৩০,০০০ এরও অধিক প্রজাতি আকর্ষণীয় রঙ, গড়ন, সুগন্ধ, ঔষধি গুণাগুণ দিয়ে আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে আসছে।
মূলত ছায়াযুক্ত সুনিষ্কাশিত কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে জমি অর্কিডের জন্য আদর্শ। বাগানে এমন ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে যেন ৪০% থেকে ৬০% এর বেশি সূর্যালোক প্রবেশ না করে। প্রথমে বেলে দোআঁশ মাটির সঙ্গে পচা গোবর সার, নারকেলের ছোবরা, ধানের তুষ মিশিয়ে বেড প্রস্তুত করতে হবে। গাছের ফুল কাটার পর গাছে পার্শীয় ভাবে সাকার আসে। তা গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নতুন গাছ লাগানো হয়। সারিগুলির পারস্পরিক দূরত্ব ৩০-৪০ সেমি ও ২৫-৩০ সেমি দূরত্ব হবে চারার মধ্যে। সপ্তাহে এক দিন ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপির সমান মিশ্রণ সম পরিমাণ জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। ভাইরাস রোগের উপদ্রব হলে আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলায় বাঞ্চনীয়। গাছ লাগানোর ১ বছরের মধ্যেই ফুল আসে।