গরুড় পুরাণ মতে, পুত্র দ্বারাই পূর্বপুরুষের মুক্তি। মার্কণ্ড পুরাণের নির্দেশ, পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষকে অন্নজল দিতে হবে। পিতৃপক্ষ পুত্রের দেওয়া অন্ন-জলেই তৃপ্ত পূর্ব পুরুষ পরলোকে স্থিত হন। তাই পিতৃপক্ষের তর্পণ আর মহালয়ার শ্রাদ্ধ রীতি।
পৌরাণিক ও শাস্ত্রীয় কাহিনী মতে, পিতৃপক্ষ বা মহালয়াপক্ষে পিতৃপুরুষরা ফিরে আসেন মর্ত্যলোকে। মহালয়া অমাবস্যায় উত্তরপুরুষদের তর্পণ শ্রাদ্ধে তাঁদের বিদেহী অবিনশ্বর আত্মা তৃপ্ত হয়। আশীর্বাদ করেন উত্তরপুরুষদের। দীপান্বিতা অমাবস্যায় তাঁরা ফিরে যান অমৃতলোকে। তাই অনেক ক্ষেত্রে মহালয়া অমাবস্যা দিনটির পরিবর্তে তর্পণ-শ্রাদ্ধ করার রীতি রয়েছে দীপান্বিতাতেও। এইদিন আকাশ প্রদীপ জ্বালানাে হয়। কথিত আছে, এই প্রজ্জ্বলিত দীপের আলোক পূর্বপুরুষদের মর্ত্যলোকে থেকে স্বর্গলোকের পথ দেখাবে। মহালয়ার শুরু দেবীপক্ষের।