মহালয়ার ভোরে স্নানের পর শুদ্ধ চিত্তে পরলোকগত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করাই রীতি। হাতে অঞ্জলি অথবা কুশিতে জল, তিল, দুর্বা ঘাস নিয়ে “তৃপ্যান্তি পিতরাে য়েন তৎপণয়” অর্থাৎ পিতৃপুরুষ যে বস্তু প্রদানে প্রসন্ন হন তাকে তর্পণ বলা হয়। তিল-জল এখানে অর্পনের প্রতীক।
যজূর্বেদ অনুসারে অঞ্জলি দানের প্রথম মন্ত্র“ ওঁ উর্জং বহন্তীরমৃতং ঘৃতং পয়ঃ কীলালাং প্ররিশ্রতং, স্বধাস্থ তর্পয়ত মে পিতৃণ্।” এরপর “গােত্র-‘উল্লেখ’, পিতা-‘উল্লেখ’, দেবশর্মা – তৃপ্যতামেতৎ সতিলােদকং তস্মৈ স্বধা..।” এটি তিনবার উল্লেখ করতে হবে। এরপর “ওঁ আগচ্ছন্তু মে পিতর ইমং গৃহ্ণত্ত্ব পােহঞ্জলিং” অর্থাৎ আমার পিতৃগণ, আসুন এই অঞ্জলি পরিমিত জল গ্রহণ করুন। এই ভাবে প্রতি পূর্বপুরুষের জন্য উল্লেখ করে রীতি মেনে তর্পণ করে জল নিবেদন করতে হবে।