কোভিড টিকা নিতে গেলে কি প্রয়োজন ও কারা পাবেন, জেনে নিন বিস্তারিত
GNE NEWS DESK: কোভিশিল্ডের প্রথম দফায় টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে রাজ্যে রাজ্যে।
জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য-
১) কাদের দেওয়া হবে টিকা – প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি করোনা যোদ্ধা ও পরে ৩০ কোটি সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে টিকা। স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকর্মী, পুরকর্মীদের মতো করোনার সামনের সারির যোদ্ধারাই তালিকার সর্বপ্রথম। এরপর পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষরা এবং যাঁদের বয়স ৫০ এর নীচে কিন্তু ডায়াবিটিস বা ওই ধরনের গুরুতর রোগ আছে।
২) কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে টিকার প্রাসঙ্গিকতা— বিশেষজ্ঞদের মতামত, সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও টিকা নেওয়াটা প্রয়োজন কারণ তা মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
৩) কোভিড রোগী কি টিকা নিতে পারে —কোভিড রোগী বা যাঁদের উপসর্গ আছে তাঁদের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা না নেওয়াই উচিত। কারণ এখনও এটা বোঝা যায়নি কোভিড রোগীদের শরীরে টিকা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
৪) টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া —যে কোনও প্রতিষেধক নিলেই হাল্কা জ্বর, হাত পা ব্যথার মতো ছোটখাটো উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এগুলি সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় না।
৫) আগে যাঁরা কোন মারন রোগের শিকার তারা কি টিকা নিতে পারেন — ক্যান্সার, ডায়াবিটিস বা হাইপারটেনশনের মতো রোগীদের সর্বাগ্রে টিকা নেওয়া উচিত।
৬) টিকা নেওয়া কি বাধ্যতামূলক—সম্পূর্ণ ব্যক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল টিকা নেওয়া।
৭) টিকা নিতে কি নথি প্রয়োজন — ড্রাইভিং লাইসেন্স, কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের জারি করা স্মার্ট কার্ড, স্বাস্থ্যবিমা, এমএনরেগা জব কার্ড এবং গ্যারান্টি কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের পাস বুক, পাসপোর্ট, কেন্দ্র বা রাজ্য বা বেসরকারি কোম্পানির কর্মীর সচিত্র পরিচয়পত্র, ভোটার কার্ড দরকার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময়।
৮) প্রতিষেধকের রেজিস্ট্রেশন —টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন আবশ্যক। টিকাকরণের সময় এবং স্থান এরপরই জানানো হবে। একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন হবে। এব্যাপারে রবিবার কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, সিও ডব্লুআইএন বা কো উইন নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম টিকাকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর সবার কাছে এসএমএস এ টিকাকরণের স্থান এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
৯) টিকা গ্রহণের সতর্কতা — টিকা নেওয়ার পর ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে। কোনও শারীরিক অসুবিধা হলে তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্যকর্মীদের জানাতে হবে।
সাধারণত দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দু’সপ্তাহ পর থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হয়। তারপরেও কোভিডের সুরক্ষা বিধি আবশ্যক ভাবে মেনে চলতেই হবে। অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া মানেই সম্পূর্ণ করোনা মুক্তি নয়।