পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্ৰুপ সি, গ্ৰুপ ডি পদে ও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সোমবার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেলে শূন্যপদের নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। মামলায় প্রায় আট হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং ছয় মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণার নির্দেশ দেয়।
নির্দেশ অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি শুরু হয়৷ ২০ মার্চ শুনানি শেষ হওয়ার পর সোমবার মামলার রায়দান হল।
সোমবার ২৮১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করলো। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে বাৎসরিক ১২ শতাংশ সুদ সহ সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। এর আগে আদালতের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিল। আপলোড না করা উত্তরপত্রগুলি দ্রুত ওয়েবসাইটে আপলোড করে জনগণকে দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপক ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।