রহস্য ঘনীভূত হল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বালেশ্বরে সোরো সেকশনের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পরিবার সহ উধাও। তদন্তে নেমে বালেশ্বরে ঐ ইঞ্জিনিয়ারের ভাড়া বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই।
গত ২ রা জুন, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ২০ কিমি দূরে বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মেন লাইনে জায়গা করে দিতে মালগাড়িকে লুপ লাইনে করে মেন লাইনের সিগন্যাল সবুজ করা হয়। কিন্তু সংক্রিয় ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও করমণ্ডল তীব্র গতিতে মেন লাইনে না গিয়ে লুপ লাইনে প্রবেশ করে মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার অভিঘাতে ইঞ্জিত উঠে যায় মালগাড়ির উপরে। একই সময়ে ডাউন লাইনে হাওড়ার দিকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয় করমন্ডলের লাইনচ্যুত কামরার ধাক্কায়। ঘটনায় সরকারি হিসাবে মৃত্যু হয় ২৯১ জনের। আহত হাজারের অধিক। ঘটনার তদন্ত ভার রেলের তরফে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেলের সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আমির খানের সন্ধানে সোমবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই এর তদন্তকারীরা। কিন্তু যে বালেশ্বরের যে ভাড়া বাড়িতে তিনি পরিবার সহ থাকতেন সেখানে তালা ঝুলছে। বাড়িটি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। এর আগে দুর্ঘটনার তদন্তে ঐ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে এক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলে খবর সূত্রের।