ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এবং দেশের জঙ্গলমহলে বরাবর বিখ্যাত পদ লাল পিঁপড়ের চাটনি। উপাদেয় তো বটেই, সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। যার মধ্যে অন্যতম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি। এবার এই লাল পিঁপড়ের চাটনিকেই আন্তর্জাতিক করে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছে ময়ূরভঞ্জ কাই সোসাইটি। তাদের তরফে GI তকমার জন্য পিঁপড়ের চাটনির নাম রেজিস্টার করা হয়েছে।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকায় গাছেই বাসা তৈরি করে ওইসোফিল্লা সামারাগডিমা প্রজাতির লাল পিঁপড়ের দল। প্রথমে সেগুলি সংগ্রহ করে জলে ভিজিয়ে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর নিজস্ব পদ্ধতিতে নুন, আদা, রসুন এবং লঙ্কা সহযোগে প্রস্তুত হয় লাল পিঁপড়ের কাই চাটনি। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ফাইবার এবং ১৮ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই চাটনি।
জিআই তকমা লাভ করলে এই চাটনি পাবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি। সেই সঙ্গে সারা দেশে চাহিদা তৈরি হলে এলাকায় আদিবাসীদের জন্য তৈরি হতে পারে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ।