এমন একটা সময় ছিল যখন এদেশে চাহিদার তুলনায় মাছের যোগান ছিল অত্যন্ত নগণ্য। বর্তমান সময়ে দেশের অভ্যন্তরীণ মাছের চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক মাছ চাষি মাছ চাষ করছে। মাছ চাষের প্রধান উপাদান হচ্ছে মাছের খাদ্য। মাছের খাদ্য আজকাল কিনতে পাওয়া যায় আবার কিছু চাইলে নিজেও বাড়ীতে তৈরি করতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক হাতে খাবার বানিয়ে পুকুরে প্রয়োগ করার কিছু কৌশল-
মাছের খাদ্য তৈরির সাধারণ ফর্মূলাঃ
কার্প-(২৪-২৫%আমিষ)
১। অটোব্রান —– ৩০ কেজি
২। ডিওআরবি —- ৩০ কেজি
৩। সয়াবিন——- ৩৫ কেজি
৪। ফিসমিল —— ৫ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম – এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না)
তেলাপিয়া/পাঙ্গাস ( ২৮-২৬%)
অটোব্রান —– ২৫ কেজি
২। ডিওআরবি —- ২৫ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ১০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না)
শিং-মাগুর ( ৩২-৩০% আমিষ)
১। অটোব্রান —– ২০ কেজি
২। ডিওআরবি —- ২০ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ২০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম; এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) )
চিংড়ি ( ৩৫-৩৩ % আমিষ)
১। অটোব্রান —– ১৫ কেজি
২। ডিওআরবি —- ১৫ কেজি
৩। সয়াবিন- —— ৪০ কেজি
৪। এ্যাংকোর——–১০ কেজি
৪। ফিসমিল —— ২০ কেজি
( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রা; এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) )
মাছের খাদ্যে আমিষ উপাদানঃ
সয়াবীন মিল(৪২-৪৪%আমিষ),
রেপ সিড অয়েল কেক(৩৬% আমিষ),
ফিশ মিল এনালগ(৬২% আমিষ),
ফিশ মিল (গ্রেড-২, আমিষ ৫৪% প্রায়),
এ্যাংকর ডালের(vetch) খুদ(৩৬% আমিষ),
খেসারীর খুদ(২৯% আমিষ),
মসুরের খুদ(২৪%আমিষ) সহ
বিভিন্ন ডালের খুদ (২৪%) সংযুক্ত করুন।
মন্তব্যঃ – এই ফর্মূলায় প্রস্তাবিত আমিষের পাশাপাশি অন্যান্য আমিষ যুক্ত করা যেতে পারে।
এগুলির মূল্য মান/ কেজির জন্য হবে প্রায় আমিষের হারের উপর ৫-১০টাকা বেশী হারে।
তবে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপাদান বা বাজার দরের উপর নির্ভর করবে।
এছাড়াও ব্যবহার করা র জন্য একটি বিশেষ ঞ র সাথে কথা বলে নিশ্চিত করতে হবে।