তেলাপিয়া মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক। আমাদের অতি পরিচিত একটি মাছ তেলাপিয়া। তেলাপিয়া মাছ দামে একটু সস্তা হওয়ায় এটি অনেকের কাছে প্রিয়। তাছাড়া তেলাপিয়া মাছের পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি খেতে হালকা স্বাদযুক্ত। তবে তেলাপিয়া মাছের কাটা কম থাকায় বিভিন্ন ভাবে এই মাছ খাওয়া হয়।
রান্না করে,শুধু ভাজি করে ,ভুনা করে,তাছারা ফিস কাঠলি তৈরিতে এই মাছ বেশি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের মানুষ নিন্ম মধ্যবিত্ত হওয়ায় এই মাছ আমাদের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কারণ এটি সকলের ক্রয়ের সাধ্যের মধ্যে থাকে।তেলাপিয়া মাছে প্রোটিনের ভালো উৎস। এই মাছ থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন সংগ্রহ করতে পারি।
তেলাপিয়া মাছ চাষ করা সহজ। এবং এই মাছ চাষ করে অনেক মৎস্য চাষী লাভবান হয়েছে। তেলাপিয়া মাছ চাষ করার জন্য পুকুর বা খাল বিল বেচে নিচ্ছে চাষিরা।
তেলাপিয়া মাছের পুষ্টিগুণ:
তেলাপিয়া মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য মাছের তুলণায় কোন অংশে কম নয়। এটি আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মিটাতে পারে ।নিয়মিত এই মাছ খেলে পটাসিয়াম, ফসফরাসের অভাব পূরণ হবে। জেনে নিই তেলাপিয়ায় পুষ্টি উপাদান
প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে আছে
পরিমান উপাদান
ক্যালোরি: ১২৮
কার্বস: 0 গ্রাম
প্রোটিন: ২৬গ্রাম
চর্বি: ৩ গ্রাম
নায়াসিন: আরডিআইয়ের ২৪%
ভিটামিন বি ১২: আরডিআইয়ের ৩১%
ফসফরাস: আরডিআই এর ২০%
সেলেনিয়াম: আরডিআইয়ের ৭৮%
পটাসিয়াম: আরডিআই এর ২০%
তাছাড়া আর ও বেশ কিছু উপাদান অছে।
তেলাপিয়া মাছ র ক্ষতিকরদিক:
তবে সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় তেলাপিয়া মাছের বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পেয়েছে।
তেলাপিয়া মাছ খেলে মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গবেষকরা।
এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছগুলোর ওপর গবেষণা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ।
গবেষণায় তারা এসব তেলাপিয়া মাছের দেহে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষ খুঁজে পান।
৮০০-র বেশি নমুনা পরীক্ষা করেন তারা। সে পরীক্ষায় ‘ডিবিউটিলিন’ এবং ‘ডাইঅক্সিন’ নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি পান এসব তেলাপিয়ার মাংসে।
প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই ‘ডিবিউটিলিন’ যা মানবদেহে প্রবেশ করলে স্থুলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং নানা রকমের বিপাকীয় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।