বিবেকানন্দ যে গভীর দার্শনিক ছিলেন তা তার বক্তব্যে প্রতিভাত হয়েছে বারবার। সন্ন্যাসী হলেও তাঁর শিক্ষাদর্শ শুধুমাত্র অতীন্দ্রিয় জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিবেকানন্দ শিক্ষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, “Education is the manifestation of the perfection already in man.” অর্থাৎ ব্যক্তি-মানুষের মধ্যে অবস্থিত মহত্বের প্রকাশই হল শিক্ষা। ব্রহ্মচর্যাশ্রম গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সু-অভ্যাস গড়ে তােলা, চরিত্রগঠন, আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি, পরায়হিতে নিমজ্জিত হওয়ার শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশসাধন, শিক্ষার্থীর নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক চেতনার উন্নতিসাধনকে বিবেকানন্দ গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষ রূপে। মানবসেবা এবং আত্মার মুক্তি ছিল বিবেকানন্দের জীবনের আদর্শ। তা ছিল তাঁর মূল সাধন। নিজের মানবাতাবাদের ধর্ম শিক্ষাই তিনি দিয়ে গিয়েছেন সমাজকে। সেই হিসেবে বিবেকানন্দকে সমস্ত সমাজের শিক্ষক রূপে অভিহিত করা যেতে পারে।