স্বামী বিবেকানন্দ এক সন্ন্যাসী, মানবপ্রেমিক, আদর্শ শিক্ষক, সুবক্তা, দুরন্ত লেখক, অসাধারণ নেতা। নিজের সমস্ত জীবন কর্মসাধন ও ত্যাগের মধ্যে থেকে যুব সমাজের মার্গ নির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি। তাই ১২ জানুয়ারি, তাঁর জন্মদিবস আজ জাতীয় যুব দিবস। তাঁর বক্তব্যে লুকিয়ে আছে সাফল্যের চাবিকাঠি। তুলে ধরা হল তেমনই ১০টি বাণী।
১. ওঠো, জাগো এবং নিজের লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।
২. লোকে তোমার নিন্দে করুক, বা প্রশংসা করুক, তোমার লক্ষ্যবস্তু তোমার কাছে থাকুক, বা দূরে, আজই তোমার মৃত্যু হোক বা ভবিষ্যতে, সত্যের পথ থেকে কখনও সরে যেও না।
৩. যতক্ষণ প্রাণ আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন জ্ঞান আহরণ করতে হবে। অভিজ্ঞতাই আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
৪. কোনও কিছু শেখার জন্য মনঃসংযোগ করা সবচেয়ে জরুরি। আর মনঃসংযোগ করতে হলে ধ্যান করতে হবে। একমাত্র ধ্যান করেই তুমি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।
৫. আমাদের চিন্তা-ভাবনাই আমাদের তৈরি করে। আমরা যেমন চিন্তা করব, তেমন হবো।
৬. আপনি যা ভাববেন, তেমনই মানুষে পরিণত হবেন। আপনি দুর্বল চিন্তাভাবনা করলে মানুষ হিসেবেও দুর্বল হয়ে থাকবেন। আপনি যদি নিজেকে সবল ভাবেন, তাহলেই আপনি সবল হবেন।
৭. গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি আমাদের মধ্যে। কিন্ত আমরা তা টের পাই না। নিজেদের চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে চারপাশে অন্ধকার বলে কান্নাকাটি করি।
৮. লড়াই যত কঠিন হবে, জয়ও ততই বড় হবে।
৯. যে মানুষ বলে তার আর কিছু শেখার নেই, সে আসলে মরতে বসেছে। যতদিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।
১০. যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে দুর্বল করে, সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন।