Swami Vivekananda : স্বামী বিবেকানন্দের ১০টি অমোঘ বাণী

images 2024 01 04t154336.358

স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধানের পর অতিক্রান্ত হয়েছে শতাব্দী। কিন্তু আজও তাঁর লেখা, বক্তব্য বা দর্শন প্রচন্ড রকমের প্রাসঙ্গিক। সমাজ, নীতি, জীবন, ধর্ম নিয়ে তাঁর বিভিন্ন বাণী আজও আমাদের চরিত্র ও সমাজ গঠনের পাথেয়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস আগামী ১২ জানুয়ারি। তারই প্রাক্কালে জেনে নেওয়া যাক স্বামী বিবেকানন্দের ১০টি বাণী।

১. বিদ্যাশিক্ষা কাকে বলি? বই পড়া?-না, নানাবিধ জ্ঞানার্জন? তাও নয়। যে শিক্ষা দ্বারা এই ইচ্ছাশক্তির বেগ ও স্ফুর্তি নিজের আয়ত্তাধীন ও সফলকাম হয়, তাহাই শিক্ষা।

২. সর্বপ্রকার শিক্ষার অর্থই আদান-প্রদান— আচার্য দিবেন, শিষ্য গ্রহণ করিবেন। কিন্তু আচার্যের কিছু দিবার বস্তু থাকা চাই, শিষ্যেরও গ্রহণ করিবার জন্য প্রস্তুত হওয়া চাই।

৩. দুই প্রকার দান বিশেষ প্রশংসার – বিদ্যাদান আর প্রাণদান। বিদ্যাদানের স্থান সর্বাগ্রে। অপরের জীবন রক্ষা করা উত্তম কর্ম, বিদ্যাদান অধিকতর উত্তম কর্ম।

৪. শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম। দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ। অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম, অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।

৫. দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়।

৬. অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল মন আামাদের নিয়ত নিম্ন থেকে নিম্নতর স্তরে নিয়ে যাবে এবং চরমে আমাদের বিধ্বস্ত করবে, ধ্বংস করবে। আর সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত মন আমাদের রক্ষা করবে, মুক্তিদান করবে।

৭. হে বীরহৃদয় যুবকগণ ,তোমরা বিশ্বাস কর যে ,তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ। ওঠ, জাগো, আর ঘুমিও না; সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের ভিতরেই আছে। এ কথা বিশ্বাস করো, তা হলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে।

৮. সাহসী হও, সাহসী হও! মানুষ একবারই মরে। আমার শিষ্যেরা যেন কখনো কোনমতে কাপুরুষ না হয়।

৯. ভয় ও অপূর্ণ ইচ্ছাই আমাদের দুঃখের প্রধান কারণ।

১০. মানুষ জ্ঞানের পরিচয় তার কথায়, যোগ্যতার পরিচয় তার কর্মে, আর বংশের পরিচয় তার ব্যবহারে।

 

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ