জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।ভারত যদি এই ম্যাচ জিতত, তাহলে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই দেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দখল করত।
ভারত চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছিল, যেটি দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ দিনে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে কোনও ঝামেলা ছাড়াই অর্জন করেছিল। এবং জোহানেসবার্গে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- Advertisement -
এই জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। সিরিজ বর্তমানে ১-১ অবস্থায়। আগামী ১১ই জানুয়ারি কেপটাউনে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলা হবে, যেখানে সিরিজ নির্ধারণ করা হবে। জোহানেসবার্গে টিম ইন্ডিয়ার জন্য ৩ জন খেলোয়াড় ভিলেন হয়েছিলেন, না হলে এই মাটিতে দ্বিতীয় টেস্টেই সিরিজ জিতে ভারত ইতিহাস তৈরি করত। এই তিন খেলোয়াড়ের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ভারতের সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।
- Advertisement -
১. ঋষভ পান্থ : টিম ইন্ডিয়ার এই পরাজয়ের সবচেয়ে বড় ভিলেন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন ঋষভ পন্ত। ঋষভ পান্তের ‘বেপরোয়া’ মনোভাব ডুবিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়াকে। এই টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তত ৩০০ বা তার বেশি রানের টার্গেট দিতে পারে টিম ইন্ডিয়া, কিন্তু চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে আউট হওয়ার পর ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বিহারি।একই সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় বলে অসতর্ক শট খেলে শূন্য রানে আউট হয়ে যান ঋষভ পান্থ। এখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা গতি পায় এবং ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায়। এভাবেই ভারতের পরাজয়ে ঋষভ পান্থ এর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন ভক্তরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ১৩ ইনিংসে মাত্র ২৫০ রান করতে পেরেছেন তিনি।
২. জাসপ্রিত বুমরাহ : জসপ্রিত বুমরাহ বিপজ্জনক বল বোলিং করেন, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান চতুরভাবে তার বল মোকাবেলা করেন। জাসপ্রিত বুমরাহ উইকেট নেওয়া বোলার হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছেন না। জোহানেসবার্গের পিচে জসপ্রিত বুমরাহের বল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের জন্য কোনো সমস্যাই করেনি। যা ম্যাচে অনেক পার্থক্য তৈরি করেছিল।
৩. মোহাম্মদ সিরাজ : মোহাম্মদ সিরাজও এই ম্যাচে সুপার ফ্লপ প্রমাণ করেছেন। এই ম্যাচে মহম্মদ সিরাজের পরিবর্তে উমেশ যাদব যদি সুযোগ পেতেন, তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। এই ম্যাচে মোহাম্মদ সিরাজের কাছ থেকে অনেক আশা ছিল, কিন্তু একটি উইকেটও নিতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ সিরাজ ৬ ওভার বল করলেও একটি উইকেটও নিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসেও ৯.৫ ওভার বল করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সিরাজ।