তার বাবা ফেরিওয়ালা। মাঝে মধ্যে সাইকেলে চড়ে সেও চুড়ি, চুলের ফিতে, খেলনার জগৎ সঙ্গী করে ফেরি করে বেড়াতো। বাঁকুড়ার শালতোড়ার সেই ছোটন কর্মকার এখন প্রবেশ করতে চলেছে আইআইটি খড়গপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শ্রেণীকক্ষে।
চরম দারিদ্র মেধাকে ঢেকে দিয়েছে এমন গল্প প্রতিনিয়ত শোনা যায় আমাদের আশেপাশে। কিন্তু সেই দারিদ্রের আগুনের ছাই থেকেই কিছু ফিনিক্স পাখির জন্ম হয়। যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় অপ্রতুলতাকেও বশ্যতা স্বীকার করিয়ে অন্যদের প্রেরণা যোগান। তেমন উদাহরণ হয়ে উঠলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার মেধাবী ছাত্র ছোটন কর্মকার। ফেরিওয়ালার জীবন থেকে এখন আইআইটি খড়গপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিটেক এর ছাত্র তিনি। অথচ প্রথমে জয়েন্ট মেনস ও পরে জেইই অ্যাডভান্সে ভালো র্যাঙ্কের দৌলতে সুযোগ পেয়েও তাঁর কাছে ভর্তির টাকাটুকু ছিল না। এগিয়ে আসেন স্থানীয় শিক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল। তিনিই কয়েকজন সমাজকর্মীর সহায়তায় ছোটনকে ভর্তির টাকা জোগাড় করে দেন। এখন তাই মেধাকে ভর করে স্বপ্নের উড়ানে সওয়ার শালতোড়ার ছোটন।